আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
210 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
১.হায়েজ অবস্থায় কোনো কারনে বীর্যপাত হলে হায়েজ থেকে পবিত্রতা অর্জনের সময়ে কি গোসলের নিয়ম একই থাকবে?

 ২.হায়েজ  অবস্থায় বীর্যপাতের কারনে ফরজ গোসল আমার উপর রয়েছে  ,তো এই অবস্থায় আমি কি সেই আমল গুলো করতে পারবো যে আমল গুলো হায়েজ অবস্থায় করা যায় ?

৩.হায়েজ/গোসল ফরজ অবস্থায় কি কি আমল করা যায়?

৪.হায়েজ অবস্থায় নাকি দূরূদ, জিকির, কোরআন এর তর্জমা পড়া যায় না অনেকেই বলেন,এ বিষয়ে জানতে চাই । আমার  সাধারণ ১০ দিন থাকে হায়েজ থাকে । এই ১০ দিনে দ্বীনি বিষয়ের সাথে অনেক অনেক দূরত্ব তৈরি হয় যার ফলে পবিত্রতা অর্জনের পর আমি কোনো আমলের স্বাদ পাইনা, নামাজে একটু ও মন বসেনা । এমতাবস্থায় আমি কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এক্ষেত্রে উক্ত সময়ে ফরজ গোসল করা আবশ্যক নয়। 
কেননা ফরজ গোসল তো পবিত্রতা অর্জনের জন্য করা হয়,আর হায়েজ চলাকালীন অবস্থায় পবিত্র হওয়ার অপশনই নেই।

সুতরাং এক্ষেত্রে হায়েজ শেষ হলে ফরজ গোসল করে নিতে হবে।

তদুপরি কেউ এই মুহুর্তে ফরজ গোসল করতে চাইলে করতে পারে,তবে এর দ্বারা যেহেতু সে পবিত্র হবেনা,তাই এক্ষেত্রে ফরজ গোসলের নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক হবেনা।

সে চাইলে মানতেও পারে,নাও মানতে পারে,এটি তার ইচ্ছা।

(০২)
হ্যাঁ, সেই আমল গুলি করতে পারবেন।


(০৩)
★হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। 
তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।   
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০) 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

ولا بأس لحائض وجنب بقراء ۃ أدعیۃ ومسہا وحملہا وذکر اللّٰہ عز وجل وتسبیح۔ (درمختار ۱؍۲۹۳ کراچی، ۱؍۴۸۸ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۱؍۴۸۱ زکریا) 
হায়েজাহ মহিলার জন্য কুরআনের দোয়ার আয়াত তেলাওয়াত করা,সেটা স্পর্শ করা,উঠানো,আল্লাহর যিকির তাসবিহ জপা জায়েজ।
,
এতে কোনো সমস্যা নেই। 
,
★হায়েজ ও গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় মুনাজাত মূলক কিছু, দোয়া মূলক আয়াত পড়া যাবে।
.
আয়াতুল কুরসি দোয়া মূলক, তিন কুল দোয়া মূলক ,আমানার রসুল দোয়া মূলক, মঞ্জিল এর ৩৩ আয়াত দোয়া, মোনাজাত মূলক আয়াতসমূহ -এসবও পড়া যাবে।
এগুলোও দোয়া মূলক আয়াত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
পরামর্শ, হায়েজ অবস্থায় আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তে (আওয়াল ওয়াক্তে বা আযানের পর) অযু করে এসে কোথাও বসে (সম্ভব হলে নামাজের স্থানে বসে) যিকির করবে,তাসবিহ পাঠ করবেন।

এই আমল প্রত্যেক ওয়াক্তেই করতে পারলে ইনশাআল্লাহ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সমাধান মিলবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 177 views
0 votes
1 answer 374 views
...