ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদিয়ার বিবিধ বিধি-বিধান বর্ণনা করতে যেয়ে
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে হাসান শাইবানী রাহ হাদিয়ার বিভিন্ন প্রকার উল্লেখ করে বলেন,
প্রেরক ও প্রাপক হিসেবে হাদিয়া চার প্রকার যথা-
(১)প্রেরক- প্রাপক উভয়ের জন্য হালাল।যেমন- মহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হাদিয়া যা সাধারণত প্রচলিত।
(২)প্রেরক-প্রাপক উভয়ের জন্য হারাম।যেমন-কারো উপর যুলুম করতে সঙ্গ দানের জন্য কাউকে হাদিয়া প্রদান।
(৩)শুধুমাত্র প্রাপকের জন্য হারাম।যেমন- কারো যুলুম থেকে নিষ্কৃতিলাভ হেতু তাকে হাদিয়া প্রদান।
(৪)নিজ জান-মাল,পরিবারবর্গ ও ইজ্জত-আব্রুকে হেফাজত করার উদ্যেশ্যে হাদিয়া প্রদাণ,প্রেরকের জন্য জায়েয।লক্ষণীয় যে,প্রেরকের জন্য হালাল হলেও প্রাপকের জন্য তা সম্পূর্ণই হারাম।
কারণ একজন মুসলমান থেকে ক্ষতিকে দূর করা অন্য মুসলমানের উপর ওয়াজিব।আর এ ওয়াজিব কাজ সম্পাদন করার জন্য বিনিময় গ্রহণ সর্বাবস্থায় নাজায়েয।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এখানে অবৈধ উদ্দেশ্যে ছেলেটি মেয়েটিকে হাদিয়া দিয়েছে, তাই মেয়েটির জন্য এই হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয হবে না। সুতরাং মেয়েটির উপর ওয়াজিব এই হাদিয়া ফিরিয়ে দেয়া।যদি ছেলেটি হাদিয়া ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে, বা বলে সে ঐ জিনিষের মালিক মেয়েকে বানিয়ে দিয়েছে, তাহলে মেয়েটির উচিৎ, কোনো গরীবকে তা দিয়ে দেয়া।মেয়েটির যদি মুবাইল ক্রয়ের সামর্থ্য না থাকে, এবং উদ্দেশ্য থাকে, দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা,তাহলে এমতাবস্থায় দ্বীনি ইলম শিক্ষার জন্য ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবে।তবে ছেলের সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ইনশা'আল্লাহ! আল্লাহ নিয়ত অনুযায়ী সওয়াব দান করেন।