ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
একটি বালতিতে একসাথে একাধিক কাপড় ভিজিয়ে সবগুলো কাপড়কে একসাথে তিনবার ধৌত করে নিলেই হবে। পৃথক পৃথক ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। হ্যা, প্রত্যেকটি কাপড়কে প্রত্যেকবার ধৌত করার সময় নিংড়াতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিংড়ালেই হবে,কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।
আপনি যেই পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন, সেই পদ্ধতির কষ্টকর হলেও কাপড় তো পবিত্র হবে।
(২)
কাপড় ধোয়ার সময় পানি ছিটকিয়ে কাপড়ে বা বাথরুমে দেয়াল কিংবা ট্যাপে ও মগে লাগলে সেগুলোও নাপাক হয়ে যাবে। তবে তৃতীয়বার ধৌত করে নিংড়ানোর দ্বারা হাত পবিত্র হয়ে যাবে।
(৩)বিছানার চাদরে প্রসাব লেগে শুকিয়ে গেলে সেখানে শোয়া যাবে। শোয়ার পর সেই কাপড় পরিহিত অবস্থায় নামাযও পড়া যাবে
(৪) মেঝেতে প্রসাব লাগলে ৩ বার নতুন পানি নিয়ে মুছতে হবে।
(৫) টাইলসে প্রসাব লাগলে, সেটাকে ভিজা কাপড় দ্বারা তিনবার মুছতে হবে।অথবা পানি ঢেলে দিয়ে পবিত্র করা যাবে।
(৬) বাথরুমে নাপাক কাপড় ধোয়ার পর মেঝেতে পানি ঢেলে দিলে মেঝে পবিত্র হয়ে যাবে।