আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in সালাত(Prayer) by (50 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) আমি অসুস্থ হওয়ার কারণে ঘরে নামাজ আদায় করি। এক্ষেত্রে নামাজ পড়ার সময় আমি মনোযোগ ধরে রাখতে পারিনা। তাইলে কি আমি কিছুটা শব্দ করে কি নামাজ আদায় করতে পারবো? যেমনঃ একজনের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে আমরা যতটুকু শব্দ করি ঐরকম ভাবে। এভাবে নামাজ পড়লে কি নামাজ আদায় হবে? 


 

২) কেউ যদি সুস্থ থাকে এবং তারপরও সে (১) নং এর মত শব্দ করে নামাজ আদায় করে, তাহলে কি তার নামাজ আদায় হবে?  


 

৩) আমার বাসার মানুষ মনে করে জাগ্রত অবস্থায়  মাগরিবের আযানের সময় কেউ শুয়ে থাকলে তার উপর বিপদ বা রোগের ভার পরে।  এটা কি সঠিক? 


৪) কেউ যদি সুরা ফাতেহা এবং অন্য সূরা পড়ার সময় নাভির উপর হাত না বাধে তাহলে কি তার গুনাহ হবে? 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
নামাযে দু রকম কেরাত রয়েছে,
উচ্ছস্বর আর নিম্নস্বর।
যোহর এবং আসরের নামাযে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয়।হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
ফজর, মাগরিব,এশা বিতির সহ বেশ কিছ জামাতের সাথে নফল নামাযে উচ্ছস্বরে কেরাত পড়তে হয়।এটাও হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2570

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যাখায় লিখেন,
ভাবার্থ- জাহরি কা'যা নামাযকে সির্রি সময়ে জামাতের সাথে আদায় করলে ইমাম সাহেব তখন উচ্ছস্বরে ক্বেরাত পড়বেন।তবে মুনফারিদ সির্রি সময়ে জাহরি নামাযকে কা'যা করার ইচ্ছাপোষণ করলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে তখন ক্বেরাতকে নিম্নস্বরে পড়বেন।কেননা উচ্ছস্বরে কুরআন তেলাওয়াত হয়তো জামাতের সাথে সীমাবদ্ধ নতুবা জাহরি সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ। অবশ্য জাহরি সময়ে মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে। (শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1725

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি একাকি অবস্থায় মাগরিব,এশা,ফজর নামাযে উচ্ছস্বরে পড়তে পারবেন।তবে জোহর আসরে পারবেন না।তখন উচ্ছস্বরে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

(২) এখানে সুস্থ অসুস্থতার কোনো পার্থক্য নাই।
 
(৩) মাগরিবের আযানের সময় কেউ শুয়ে থাকলে তার উপর বিপদ বা রোগের ভাড় পরে। এ কথা বিশুদ্ধ নয়। তবে এটা ঠিক যে, কোনো আযানের সময় শুয়ে থাকা জায়েয নয়।বরং জামাতে শরীক হওয়া ওয়াজিব।

(৪) হানাফি ফিকহ অনুযায়ী নামাযে পুরুষের জন্য নাভীর নীচে হাত বাধা সুন্নত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1177


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
...