আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

আমার শ্বশুরের বিগত ৪-৫ মাস যাবত অসুস্থ। সে স্ট্রোক করেছে ‌।এখন সে বিছানায় পড়ে গিয়েছে।সে কথা বলতে পারে নিজে খেতে পারে না।খাওয়ায় দিতে ।গোসল করা ইত্যাদি কিছুই করতে পারে না। এখন এমতাবস্থায় আমার স্বামী তাকে সেবা যত্ন করতে বলেছে ।আমি পুত্রবধূ হিসেবে যতটুকু আমার পক্ষে সম্ভব সেবা করেছি।এখন আমাকে বলা হচ্ছে আমার শ্বশুরের বাথরুম পরিষ্কার করার সময় আমার শাশুড়ির সাথে সআহআয্য করা।তাকে গোসল করার সময় সাথে থাকা।এগুলা করা আমি পুত্রবধূ হিসেবে কতটুকু জায়েজ ?

আমার শ্বশুরের কোন বোধ জ্ঞান নাই। কিন্তু কখনো কখনো তাকে কিছু বলা হলে সে বোঝে। কিন্তু বলতে পারে না।তাকে সেবা যত্ন করতে গিয়ে কখনো কখনো আমার শরীরের তার হাতের স্পর্শ লেগে যায় ।তার মানে এটা না যে সে ইচ্ছা করে করছে। তাকে ধরে উঠানো বসানো আরো অন্যান্য কাজ করতে গেলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।আমার শাশুড়ির স্থুস্থ আছে কিন্তু সে আমার শ্বশুরেকে টানাটানি করতে পারে না।আমি অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি।

1 Answer

0 votes
by (564,270 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: "তুমি তোমার লজ্জাস্থানকে হেফাযতে রাখ (সবার কাছ থেকে); শুধু তোমার স্ত্রী ও তোমার দক্ষিণহস্ত যার মালিক (দাসী) সে ছাড়া"।[সুনানে আবু দাউদ (৪০১৭), সুনানে তিরমিযি (২৭৯৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শ্বশুরের বাথরুম পরিষ্কার করার সময় শাশুড়ির সাথে সেখানে সাআয্য করা,সেখানে থাকা।তাকে গোসল করার সময় সাথে থাকা,এসব ক্ষেত্রে যেহেতু লজ্জাস্থান দেখা হয়ে যায়,তাই আপনার জন্য সেখানে থাকা জায়েজ নেই।

হ্যাঁ,পুত্রবধুর জন্য তার শশুরকে পরিষ্কার করা ঐ সময় জায়েয হবে; যদি শশুর নিজে নিজেকে পরিষ্কার করতে অক্ষম হয় এবং তার স্ত্রী (পুত্রবধূর শাশুড়ী)  না থাকে; যিনি তার সেবা করবেন ও তাকে পরিষ্কার করে দিবেন এবং তার খেদমত করার জন্য পুরুষ কেউ না থাকে। কেননা জরুরী পরিস্থিতিতে ও তীব্র প্রয়োজনের ক্ষেত্রে লজ্জাস্থান অনাবৃত করা ও স্পর্শ করা জায়েয আছে। তবে, যে যে অবস্থায় লজ্জাস্থানের দিকে না তাকিয়ে ও হাত দিয়ে স্পর্শ না করে করা সম্ভবপর সে সে ক্ষেত্রে সেভাবে করাটা তার উপর ওয়াজিব। আর উত্তম হচ্ছে—কোন একটি আচ্ছাদন ব্যবহার করে কাজটি করা; যেমন- কোন ন্যাকড়া বা মোজা বা এ জাতীয় অন্য কিছু। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (564,270 points)
قال المرداوي رحمه الله في الإنصاف (8/22) :

"من ابتلي بخدمة مريض أو مريضة في وضوء أو استنجاء أو غيرهما فحكمه حكم الطبيب في النظر والمس . نص عليه [ يعني : الإمام أحمد رحمه الله ] . كذا لو حلق عانةَ مَنْ لا يحسن حلق عانته . نص عليه . وقاله أبو الوفاء , وأبو يعلى الصغير " انتهى .

وقال في كشاف القناع (5/13) :

" وللطبيب نظر ولمس ما تدعو الحاجة إلى نظره ولمسه حتى فرجها وباطنه ، لأنه موضع حاجة . . . . وليكن ذلك مع حضور محرم أو زوج ، لأنه لا يأمن مع الخلوة مواقعة المحظور ؛ ويستر منها ما عدا موضع الحاجة ، لأنها على الأصل في التحريم .

ومثله - أي : الطبيب - مَنْ يلي خدمة مريض أو مريضة في وضوء واستنجاء وغيرهما ، وكتخليصها من غرق وحرق ونحوهما ، وكذا لو حلق عانة من لا يحسن حلق عانته " . انتهى باختصار .

ومداواة الطبيب الرجل للأنثى ، مقيد بضوابط ، منها : عدم وجود طبيبة ولو كافرة .

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...