,
(০১)
অমুসলিম অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়ার এবং তার সেবা করার অনুমতি আছে।
যেমন, হাদিস শরিফে এসেছে, আনাস রাযি. বলেন,
كان للنبيﷺ غلام يهودي يخدمه ، فَمَرِضَ ، فَأَتَاهُ النَّبِيُّ ﷺ يَعُودُهُ فَقَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ فَقَالَ لَهُ أَسْلِمْ فَنَظَرَ إِلَى أَبِيهِ وَهُوَ عِنْدَهُ فَقَالَ لَهُ أَطِعْ أَبَا الْقَاسِمِ ﷺ فَأَسْلَمَ فَخَرَجَ النَّبِيُّ ﷺوَهُوَ يَقُولُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَهُ مِنْ النَّارِ
এক ইয়াহূদী বালক, নবী ﷺ– –এর খিদমত করত, সে একবার অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী ﷺ তাকে দেখার জন্য আসলেন। তিনি তার মাথার কাছে বসে তাকে বললেন, তুমি ইসলাম গ্রহণ কর, সে তখন তার পিতার দিকে তাকাল, সে তার কাছেই ছিল, পিতা তাকে বলল, আবূল কাসিম (নবী ﷺ–এর কুনিয়াত) এর কথা মেনে নাও, তখন সে ইসলাম গ্রহণ করল। নবী ﷺ সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বলেছিলেন, যাবতীয় প্রশংসা সে আল্লাহর, যিনি তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিলেন। (বুখারি ১২৭৩ জানাযা অধ্যায়)
সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা.-এর ঘটনা। একদিন তার ঘরে একটি বকরি জবাই করা হল। খাবার রান্না হলে তিনি তার গোলামকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের ইহুদি প্রতিবেশীকে কি এ খাবার দিয়েছ?’ এরপর তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, প্রতিবেশীর বিষয়ে জিবরাইল আমাকে এত উপদেশ দিচ্ছিলেন, আমি মনে করছিলাম, তিনি হয়ত তাদেরকে ওয়ারিশই বানিয়ে দেবেন।’ -জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৯৪৩
,
অমুসলিম প্রতিবেশির হক সম্পর্কে জানুনঃ
,
মুসলিম অমুসলিম এক রুমে থাকাকেই কখনো শরীয়ত অনুমোদন দিতে পারে না।
এটা পুরোপুরি নাজায়েজ।
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”।(আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)
আরো জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে সান্তনা দেওয়া যাবে,তবে তার সাথে এক ঘরে থাকা যাবেনা।