ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(১.২)
হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।
সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
(তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,
★ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)
হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
,
মহিলাদের উপর হজ্বঃ
দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে এবং সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকলে ঐ মহিলার উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।
স্বামী উভয়ের খরচ বহনে সক্ষম হ’লেই স্ত্রীর উপর হজ্জ ফরয হয় না।
বরং স্ত্রীর যদি নিজ মালিকানায় হজ ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ থাকে,তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে যেহেতু হজ্বে যাওয়ার মতো আপনার মাহরাম পুরুষ নেই,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ ৪ বছরে আপনার উপর হজ্জ ফরজ হয়নি।
(০৩)
আপনাকে চার বছরের যাকাত আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে বর্তমান বাজার নয়,বরং সেই সময়ের প্রত্যেক আলাদা আলাদা বছরের বাজার মূল্যের হিসেবে আপনার কাছে থাকা সমস্ত স্বর্ণ ও রুপার আনুমানিক বিক্রয়মূল্য বের করে ২.৫% যাকাত দিবেন।
২০১৯,২০২০,২০২১,২০২২ এর চার বছরের যাকাত।
এক্ষেত্রে উল্লেখিত প্রত্যেক আলাদা আলাদা বছরের বাজার মূল্যের হিসেবে আপনার কাছে থাকা সমস্ত স্বর্ণ ও রুপার আনুমানিক বিক্রয়মূল্য বের করে ২.৫% যাকাত দিবেন।
(০৪)
আপনার অনুমতি নিয়ে আপনার নামে কুরবানী হয়ে থাকলে সেই দুই বছরের কুরবানী আপনার আদায় হয়ে গিয়েছে।
এখন অবশিষ্ট দুই বছরের কুরবানী না দেয়ার দরুন দুটি ছাগল সমপরিমাণ টাকা আপনি গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।