ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
উকবাহ ইবনু আ’মির রাযি. বলেন,
لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ
‘ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না।’
(সহিহ বুখারী, অধ্যায় ৬৮)
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوَسِ ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ، قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ
- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
(০১)
তালাকের ওয়াসওয়াসার দরুন যদি কাহারো বিবেকবুদ্ধি লোপ পায়,বিবেকবুদ্ধিতে যদি সমস্যা চলে আসে,সেক্ষেত্রে তার জন্য তালাকের ওয়াসওয়াসা এক ধরনের রোগ।
(০২)
যেকেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। তবে যাদের মাঝে পবিত্রতা বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসা রয়েছে, তাদের তালাকের ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হওয়া যায়না,তালাকের ওয়াসওয়াসার দরুন যখন কাহারো বিবেকবুদ্ধি লোপ পায়,বিবেকবুদ্ধিতে যদি সমস্যা চলে আসে,তখন কেবল এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
(০৩)
সেদিন থেকে তালাকের ওয়াসওয়াসার দরুন আপনার কি বিবেকবুদ্ধি লোপ পেয়েছে? বিবেকবুদ্ধিতে কি সমস্যা চলে এসেছে?
যদি তাই হয়,সেক্ষেত্রে আপনাকে সেদিন থেকে তালাকের ওয়াসওয়াসার রুগী বলা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে শিউর হওয়ার জন্য কোনো দারুল ইফতা বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর কাছে যাওয়া উত্তম।