আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)

হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নারীদের জন্য ঘর হতে বের হওয়ার অধিকার নেই, শুধু মাত্র অপারগ ও নিঃসহায় অবস্থাতে বের হতে পারবে। (তাবরানী)।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, মেয়েরা লুকানো বস্তু (অর্থাৎ মেয়েদের জন্য পর্দা জরুরী) কেননা যখন তারা বাইরে যায় তখন শয়তান তাদের প্রতি কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করে। চরিত্রহীন লোক যারা মেয়েদের প্রতি কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করে এরা শয়তান। (তিরমিযী শরীফ)।

 

উস্তাদের কাছে উপরে টা হাদিসের সত্যতা রেফারেন্স সম্পর্কে জানতে চাই? 

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসদ্বয়ের মধ্য হতে ১ম হাদীস  হুবহু বাক্যে খুজে পাইনি। 
২য় হাদীস খুজে পেয়েছি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহিলারা হচ্ছে আওরাত (আবরণীয় বস্তু)। সে বাইরে বের হলে শাইতান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। 
(সহীহ, তিরমিযী ১১৭৩, ইরওয়া ২৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৬৯০,মিশকাত (৩১০৯),  তা’লীক আলা ইবনি খুযাইমা (১৬৮৫))

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।

হাদীসটির ব্যাখ্যা: শায়ত্বনের তাশরীফের অর্থ হলো, নারীর কোনো অঙ্গের দিকে সে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এবং পর্দার উপর তার হাত বিছিয়ে দেয়। এর অর্থ হলো, নারীর তার নিজকে প্রকাশ করাটা খুব নিকৃষ্ট কাজ। যখন সে বের হয় বাজে দৃষ্টি তাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নেয়, ফলে সে অন্যের দিকে ধাবিত হয় এবং অন্য কেউ তার দিকে ধাবিত করে, ফলে উভয় কিংবা উভয়ের একজন ফিতনায় পতিত হয়। অথবা মানবরূপী পাপাচারী ব্যক্তি শায়ত্বনী কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১১৭৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...