আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
একটু কষ্ট করে আমার কথাগুলো পড়বেন।
প্রায় চার-পাচ মাস আগে আমার তেমন ওয়াসওয়াসার কোন সমস্যা ছিলো না।
আমার মুল উদ্দেশ্য ছিলো অতিতে কখোনো তালা** শব্দ বলেছি নাকি তা উচ্চারণ করে করে মনে করার চেষ্টা করা। এছাড়া হুজুর আর কোন উদ্দেশ্য ছিলো না। আর উচ্চারন করে অনেক চেষ্টার পর আমি কিছুই মনে করতে পারি নি অতিতের কোন কথা।
কয়েক মাস আগের কথা আমি তালা** মাসালা পড়ে সন্দেহ আর চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। আমি যখন জানতে পারলাম নির্জনে বসে স্বামি মুখে উচ্চারণ করলে তালা** হয়ে যায় তখন আরো চিন্তা আর সন্দেহ তৈরি হইছিলো।
আমি তখন বাসায় একা ছিলাম। তাই অতিতে কখোনো তালা*** শব্দ স্ত্রীকে লিখে পাঠাইছিলাম নাকি বা উচ্চারণ করেছিলাম নাকি। ভবিষ্যৎ শব্দ দিবো বা দিলাম বলেছিলাম বা লিখেছিলাম নাকি এসব চিন্তা সন্দেহ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো।।
তাই আমি একা রুমের ভিতর তোমাকে তালা*** দিবো বা দিলাম। দিবো/ দিলাম/ দিবো/দিলাম/দিবো/দিলাম এরকম করে করে উচ্চারণ করতে ছিলাম শিউর হওয়ার জন্য যে অতিতে কখোনো এরকম শব্দ লিখেছিলাম বা উচ্চারণ করেছিলাম নাকি। সেটা কি ভবিষ্যৎকালিন শব্দ দিবো বলেছিলাম না দিলাম বলেছিলাম অতিতের কাহিনি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করে করে দেখতেছিলাম। মাথার ভিতর চিন্তা আর সন্দেহ থেকে আমি উচ্চারণ করে করে শিউর হইতে চাইছিলাম যে অতিতে কখোনো এসব শব্দ স্ত্রীকে লিখেছিলাম বা বলছিলাম নাকি।কিন্তু মনে করতে পারি নি কোনকিছু।
তারপর আমি বাথরুমে গেছিলাম, বাথরুমে বসেও আমি উচ্চারণ করতে ছিলাম তোমাকে তালা*** দিবো না দিলাম।দিবো না দিলাম কখোনো অতিতে বলেছিলাম বা লিখে পাঠিয়েছিলাম নাকি। উচ্চারণ করে করে মনে করার চেষ্টা করতে ছিলাম। কিন্তু মনে করতে পারি নি কোনকিছু।
তারপর মনে হলো যে আমার একা একা রুমের ভিতর বা বাথরুমে ওরকম তোমাকে তালা*** দিবো/ দিলাম শব্দ গুলা উচ্চারণ করে অতিতের কথা মনে করার চেষ্টা করা উচিত হয়নি।
আমার এখানে তালা** কোন উদ্দেশ্যই ছিলো না। শুধু অতিতের কথা মনে করার চেষ্টা করেছিলাম। যা কিছুই মনে করতে পারি নি।
আর, হুজুর আমার চার-পাচ মাস আগে আমার তেমন ওয়াসওয়াসা ছিলো না।
আমার ওরকম উচ্চারণ করার মুল কারন ছিলো অতিতের কাহিনি মনে করার জন্য। কিন্তু কিছুই মনে করতে পারি নি।
হুজুর এর জন্য কি সমস্যা হবে ??? আমি কি এসব দুশ্চিন্তা বাদ দিয়া দিবো ???