আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

একটু কষ্ট করে আমার কথাগুলো পড়বেন।

প্রায় চার-পাচ মাস আগে আমার তেমন ওয়াসওয়াসার কোন সমস্যা ছিলো না।

আমার মুল উদ্দেশ্য ছিলো অতিতে কখোনো তালা** শব্দ বলেছি নাকি তা উচ্চারণ করে করে মনে করার চেষ্টা করাএছাড়া হুজুর আর কোন উদ্দেশ্য ছিলো নাআর উচ্চারন করে অনেক চেষ্টার পর আমি কিছুই মনে করতে পারি নি অতিতের কোন কথা

কয়েক মাস আগের কথা আমি তালা** মাসালা পড়ে সন্দেহ আর চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। আমি যখন জানতে পারলাম নির্জনে বসে স্বামি মুখে উচ্চারণ করলে তালা** হয়ে যায় তখন আরো চিন্তা আর সন্দেহ তৈরি হইছিলো।


আমি তখন বাসায় একা ছিলাম। তাই অতিতে কখোনো তালা*** শব্দ স্ত্রীকে  লিখে পাঠাইছিলাম নাকি বা উচ্চারণ করেছিলাম নাকি। ভবিষ্যৎ শব্দ দিবো বা দিলাম বলেছিলাম বা লিখেছিলাম নাকি এসব চিন্তা সন্দেহ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো।।

তাই আমি একা রুমের ভিতর তোমাকে তালা*** দিবো  বা দিলাম। দিবো/ দিলাম/ দিবো/দিলাম/দিবো/দিলাম এরকম করে করে উচ্চারণ করতে ছিলাম শিউর হওয়ার জন্য যে অতিতে কখোনো এরকম শব্দ লিখেছিলাম বা উচ্চারণ করেছিলাম নাকি। সেটা কি ভবিষ্যৎকালিন শব্দ দিবো বলেছিলাম না দিলাম বলেছিলাম অতিতের কাহিনি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করে করে দেখতেছিলাম। মাথার ভিতর চিন্তা আর সন্দেহ থেকে আমি উচ্চারণ করে করে শিউর হইতে চাইছিলাম যে অতিতে কখোনো এসব শব্দ স্ত্রীকে লিখেছিলাম বা বলছিলাম নাকি।কিন্তু মনে করতে পারি নি কোনকিছু।

তারপর আমি বাথরুমে গেছিলাম, বাথরুমে বসেও আমি উচ্চারণ করতে ছিলাম তোমাকে তালা*** দিবো না দিলাম।দিবো না দিলাম  কখোনো অতিতে বলেছিলাম বা লিখে পাঠিয়েছিলাম নাকি। উচ্চারণ করে করে মনে করার চেষ্টা করতে ছিলাম। কিন্তু মনে করতে পারি নি কোনকিছু।

তারপর মনে হলো যে আমার একা একা রুমের ভিতর বা বাথরুমে ওরকম তোমাকে তালা*** দিবো/ দিলাম শব্দ গুলা উচ্চারণ করে অতিতের কথা মনে করার চেষ্টা করা উচিত হয়নি
আমার এখানে তালা** কোন উদ্দেশ্যই ছিলো নাশুধু অতিতের কথা মনে করার চেষ্টা করেছিলামযা কিছুই মনে করতে পারি নি।

আর, হুজুর আমার চার-পাচ মাস আগে আমার তেমন ওয়াসওয়াসা ছিলো না। 

আমার ওরকম উচ্চারণ করার মুল কারন ছিলো অতিতের কাহিনি মনে করার জন্যকিন্তু কিছুই মনে করতে পারি নি

 



হুজুর এর জন্য কি সমস্যা হবে ??? আমি কি এসব দুশ্চিন্তা বাদ দিয়া দিবো ???

 

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে এর জন্য সমস্যা হবেনা। 
আপনি এসব দুশ্চিন্তা পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...