আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
93 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম, একটা ব্যাপারের ব্যাখ্যা চাই।

দাম্পত্য জীবনে ব্যাপক অশান্তি চলায় বিরক্ত করছি। ক্ষমা করবেন।

বিয়ের কাহিনি নিয়ে পোস্ট করেছিলাম। https://www.ifatwa.info/25625/

পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম ইস্তিখারার নামাজের পর বিয়ের কথা চলার সময় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে এবং আমার মাথায় অনেক নেগেটিভ চিন্তা আসে। এই যেমন: মেয়ে চিটার। সে সিভিতে হাইট বাড়িয়ে বলেছিল তার মানে বাকি যে ভাল কথা গুলো বলেছিল সেগুলোও মিথ্যা হতে পারে। তাদের ফ্যামিলি স্ট্যাটাস নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি দেখা দিয়েছিল মনে। তাছাড়া তার ভাইরা উগ্র এটাও মনে হয়েছিল বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে।

তো, আমি এক পর্যায়ে কান্নাকাটি শুরু করেছিলাম। এবং বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিলাম। পরে নিজের কমিটমেন্ট রাখতে বিয়ে ভাঙ্গার ৬-৭ মাস পর বিয়ে করি।

বিয়ের পর আমার সাথে তাই ই ঘটতে থাকে যা বিয়ের পূর্বে ইস্তিখারার নামাজের পর মারহায় এসেছিল। অনেক কলহ তৈরি হয়। মেয়ের সমস্যা মেয়ে অবাধ্য। কথায় কথায় বাবার বাড়ি চলে যায়। চাকরি না থাকার কারণে তার ফ্যামিলি থেকে আমাকে আর মাকে অপদস্থ করা হয়।

বিয়ের ১০ মাসের মধ্যে কেবল ৪ মাস একসাথে থাকতে পেরেছি। ঝগড়া করে এত বাবার বাড়ি চলে যায়।

তাদের ফ্যামিলি স্ট্যাটাস অনেক নিচু হওয়া সত্ত্বেও আমাদের অপমান করে কথা বলে। আমার বাবা নেই। চাচারা উনার সাথে কথা বলবেনা। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সমাধান করার চেস্টা করেছিলাম। কিন্তু মায়ের অপমানের কারণে বাধ্য হয়ে একটা ভয়েস মেসেজ ।

সাংসারিক অশান্তির বিস্তারিত: https://ifatwa.info/77832/

ভয়েস মেসেজ লিংক: https://terabox.com/s/1cmjy6ByaZVbzbJWT-8e1জক

উপরোক্ত অশান্তির পর ২ সপ্তাহের বেশি সময় তার সাথে যোগাযোগ নাই। সে আমাকে ফোন দেয়না। আমিও দিতাম না। তবে গতকাল ঈদ মনে করে ফোন দিয়েছিলাম তাকে ও তার ভাইদের। তারা ফোন ধরেনি। উলটো আমার স্ত্রী আমার খালাকে বলেছে: নুহানের কি লজ্জা নাই এত কিছুর পরেও ওর ভাইদের ফোন দিতে?

উল্লেখ করা প্রয়োজন আমি বেশ কিছুদিন আগে ইস্তিখারার নামাজ পড়ি। আর আমার মনে হতে থাকে: ডিভোর্স দেয়া ভাল হবে। কারণ, যারা আল্লাহ ও রাসুলের বিধান জানা সত্ত্বেও আমাকে আমার স্ত্রী থেকে আলাদা করেছে তারা আর যাই হোক, সারাজীবন ই এমন করবে। কোন সম্মান দিবেনা। তারা অনেক উগ্র। যেকোন সময় খারাপ করতে পারে। এখন যদি সম্পর্ক থেক৩ বের হয়ে যাই, কস্ট কম হবে। পরে ঝামেলা বেশি হবে।

ইস্তিখারার নামাজের পর পরিস্থিতির উন্নতি দেখিনি। উলটো আমি এপ্রোচ নিতে গিয়ে অপমানিত হলাম। তার ভাইরা তাকে বলেছে: তুমি তোমার শ্বশুরবাড়ি যেতে পার। মাঝে মাঝে যাবা। তোমরা চাকরি হবার আগে যদি পার্মানেন্টলি যাও তবে ওখানে সমস্যা হলে আমরা এর মাঝে নেই। আমাদের বাসায় তোমার জায়গা হবেনা। একবার ভুল করেছ তাই সুযোগ দিয়েছি কিন্তু বারবার সুযোগ দিব না।

উল্লেখ্য, সমাধানের পথে যেতে গেলে আমার মা কে অপমানিত হতে হবে।

আর আমার চাকরি নিয়েই মেইন সমস্যা হয়েছিল। এখন চককরি হয়েছে তাও পরিস্থিতির উন্নতি নেই।

এখন আমার প্রশ্ন হল:

১। বিয়ের পূর্বে কি ইস্তিখারার ফল আসলেই নেগেটিভ ছিল?

২। ডিভোর্সের ব্যাপারে ইস্তিখারার ফল কি ধরে নিব? উল্লেখ্য পজিটিভ মানে হল ডিভোর্স দেয়া ভাল। আর নেগেটিভ মানে হল ডিভোর্স না দেয়া ভাল। কোনটা উত্তর হবে?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতক্ষণ না আপনার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হচ্ছে,তথা ডিভোর্সের দিকে অগ্রসর হবেন কি না?  ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি ইস্তেখারা করতে থাকবেন।আল্লাহ আপনাকে সঠিক রাস্তা প্রদর্শন করুক।আমীন।
এ বিষয়ে আপনি স্থানীয় পর্যায়ের কোনো আলেমর কাছে সরাসরি উপস্থিত সবিস্তারে বলে পরিস্থিতি বুঝিয়ে সমাধান গ্রহণের চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...