ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
(ক) হানাফি মাযহাব মতে মাসের সূচনা চাঁদ দেখার উপরই নির্ভর করে।তাই প্রত্যেক এলাকায় চাঁদ দেখার পরই সেখানে হিজরী মাস শুরু হবে।
(খ)বাকী তিন মাযহাব মতে কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সবার জন্য হিজরী মাস শুরু হয়ে যাবে।
হানাফি মাযহাবের উলামায়ের কেরামগনের বক্তব্য-
শরীয়তে কিছু ইবাদতের সম্পর্ক চাঁদের সাথে আর কিছুর সম্পর্ক সূর্যের সাথে।
পৃথিবীর সকল জায়গায় একসাথে সূর্যোদয় হয় না এবং সূর্যাস্তও হয় না।এবং তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত এক সাথে হয় না।হাদীসে এসেছে,শেষ রাত্রে আল্লাহ বান্দাকে ডেকে বলেন,আছো কি কেনো গোনাহগার?আমি ক্ষমা করে দেবো।অথচ পৃথিবীর সকল জায়গায় এক সাথে তাহাজ্জুদ হয় না।লাইলাতুল কদরের আলোচনা কুরআনে এসেছে,অথচ সারা পৃথিবীতে এক সাথে রাত্র হয় না।
উপরোক্ত বিষয়গুলোতে আমরা অবশ্যই একথা বলবো,যে এই ইবাদত গুলি,যেমন লাইলাতুল কদর ইত্যাদির সম্পর্ক স্থানের সাথে।জিলহজ্বের মাসের নয় তারিখের নাম হল,ইয়াউমুল আরাফাহ।হাদীসে আরাফাহর দিন রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে।
সুতরাং আরাফাহ তথা ৯জিলহজ্বের সম্পর্ক স্থানের সাথে।যে যেখানে অবস্থান করবে,সেখানের হিসেবেই ৯জিলহজ্ব অনুযায়ী রোযা রাখবে।
অন্যদিকে যারা সারা পৃথিবীতে একই সাথে হিজরী বর্ষ গণনার পক্ষে মতামত দিয়ে থাকেন।তারা মূলত সৌদিকে মানদন্ড হিসেবে সাব্যস্ত করেন।সুতরাং যে দিন সৌদিতে মাসের সূচনা হবে।সেদিন সারা পৃথিবীতেও মাসের সূচনা হবে।এ হিসেবে আরাফাহ তথা ৯জিলহজ্ব সেদিনই হবে যেদিন সৌদিতে ৯জিলহজ্ব হবে।অাল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমাদের দেশে যখন ৯ জিলহজ্ব হবে, তথা ইংরেজী মাসের ১০ তারিখ আপনি রোযা রাখবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2247
(২)
এই দশদিন চুল নখ না কাটা মুস্তাহাব। যারা কোরবানি দিবে এবং দিবে না, সবার জন্যই একই নিয়ম। সেজন্য চুল না আঁচড়ানোই উচিৎ।
صحيح مسلم (3/ 1565)
'سمع سعيد بن المسيب، يحدث عن أم سلمة، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «إذا دخلت العشر، وأراد أحدكم أن يضحي، فلا يمس من شعره وبشره شيئاً»۔'
سنن النسائي (7/ 211)
'عن أم سلمة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من رأى هلال ذي الحجة، فأراد أن يضحي، فلا يأخذ من شعره، ولا من أظفاره حتى يضحي»۔'
مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح (3/ 1081)
' قال التوربشتي: ذهب بعضهم إلى أن النهي عنهما للتشبه بحجاج بيت الله الحرام المحرمين، والأولى أن يقال: المضحي يرى نفسه مستوجبةً للعقاب وهو القتل، ولم يؤذن فيه، ففداها بالأضحية، وصار كل جزء منها فداءً كل جزء منه، فلذلك نهي عن مس الشعر والبشر ؛ لئلا يفقد من ذلك قسط ما عند تنزل الرحمة، وفيضان النور الإلهي، ليتم له الفضائل، ويتنزه عن النقائص. قال ابن حجر: ومن زعم أن المعنى هنا التشبه بالحجاج غلطوه بأنه يلزم عليه طلب الإمساك عن نحو الطيب ولا قائل به اهـ.وهو غلط فاحش من قائله ؛ لأن التشبه لا يلزم من جميع الوجوه، وقد وجه توجيهاً حسناً قي خصوص اجتناب قطع الشعر أو الظفر'.