ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلَوْ ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায় এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে। (ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২)
অন্যত্র আমরা লিখেছি,
وَإِنْ تَمَضْمَضَ أَوْ اسْتَنْشَقَ فَدَخَلَ الْمَاءُ جَوْفَهُ إنْ كَانَ ذَاكِرًا لِصَوْمِهِ فَسَدَ صَوْمُهُ وَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكِرًا لَا يَفْسُدُ صَوْمُهُ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَعَلَيْهِ الِاعْتِمَادُ.
রোযাদার ব্যক্তি যদি(অজু করার সময়)গরগরা করে কুলি করে এবং নাকের নরম জায়গায় পানি পৌছায়।অতঃপর সে পানি ভিতরে চলে যায়।যদি তার রোযা স্বরণ থাকা অবস্থায় সে ঐ পানি পৌছিয়ে থাকে, তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং শুধুমাত্র তার কাযা আসবে।কিন্তু যদি তার রোযা স্বরণে না থাকে, তাহলে তার রোযা ভঙ্গ হবে না।(খুলাসাহ) এবং এর উপর-ই ফাতাওয়া। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২০২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1199
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আতরের সামান্য অংশ মুখে গেলেও যেহেতু মুখের লালার আধিক্য ছিলো, যা আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে, সুতরাং আপনার রোযা ফাসিদ হবে না।