আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। শায়েখ আমি অনেক কষ্টে আছি।দয়া করে আমার লেখা গুলো পরার অনুরোধ রইলো।
শায়েখ আমি ১৪-৩-২৩ তারিখে বিয়ে করি।বিয়ের পর তালাক নিয়ে একটা আরটিক্যাল পরার পর থেকে আমার মাথায় শুধু এসব কিছুই ঘুরে, আমার মনে হয় সব কথাই তালাক হয়ে যাচ্ছে।আমার মনে হইতো আমি মুখ দিয়ে কথা বললেই তালাক বলে ফেলবো।এই বুঝি তালাক হয়ে গেলো এমন লাগতো আমার কাছে। আমি এক সময় কথা বলা বন্ধ করে দেই সবার সাথে। মুখ চাপ দিয়ে বন্ধ করে রাখতাম যাতে মুখ দিয়ে তালাক এর কথা উচ্চারণ না হই।সবাই বলতো তর কি হইছে কথা বলস না কেনো। এমন অবস্থা ছিলো যে মুখে কোনো কিছুর শব্দ হলেও আমার মনে হইতো আমি তালাক বলে ফেলছি। আমি ঘরে পরে থাকি বাহিরে যায় না কেউর সাথে কথা বলি না। মানে খাইতে গেলে তালাকের চিন্তা অজু করতে গেলে তালাকের চিন্তা সব সময় আমার মাথায় এইসব চিন্তা থাকে। আমি মুখ খুলতে পারতাম না মুখ খুলেছি মানে তালাক বলে ফেলছি আমরা এমন মনে হইতো।তখন এইসব কথা আমি আমার স্ত্রী কে বলি। এরপর নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই।নামাজ পরি কান্না করি। এমন কি নামাজ যে পরতাম তাও মনে মনে সুরা উচ্চারণ করতাম নামাযের মধ্যেও আমার তালাকের চিন্তা আসতো। নামাজ পরি সেজদায় গিয়ে কান্না করে মনে মনে দুয়া করতাম। কিন্তু এইসব চিন্তা দিন দিন বারতেই থাকতো। ঘরে একটা কোনায় বসে থাকতাম। আর মুখ ইচ্ছে করে চাপ দিয়ে বন্ধ করে রাখতাম। তখন আমার চাপা বেথা করতো। এইভাবে আমার দিন যাইতো। যখন দেখি নামাজ পরতেছি কান্না করতেছি সেজদায় গিয়ে কান্না করে দুয়া করতেছি কিন্তু আমার এইসব সমস্যা দিন দিন আরো বারতেছে তখন একটা সময় পর আমি হতাশ হয়ে যায়। আমার অনেক কষ্ট হইতেছিলো। যখন দেখি নামাজ পরেও আমার সমস্যা বারতেছে তখন আমি নিরাশ হয়ে যায়। নিরাশ হয়ে হথাশ হয়ে আমি আল্লাহ কে বলি আল্লাহ ও আমারে ফালাইয়া দিছে,আমার কষ্ট আল্লাহ দেখে না,আমারে কস্ট দিয়া আল্লাহ কি মজা পাইতাসে,আমার কান্নার কি আল্লাহর কাছে কোনো দাম নাই ,,আমার চখের পানির দাম নাই আল্লাহর কাছে,আল্লাহ আমারে পছন্দ করে না তাইতো আমি এমন ভাবে কান্না করে দুয়া করতেছি আল্লাহর কাছে কিন্তু আমার কান্নার কোনো দাম দেনা,আমি কষ্টে আছি এরপর ও আল্লাহ আমারে এইভাবে কস্ট দিতাসে,আমারে কষ্ট দিয়া আল্লাহ তুমি ভালো থাকো,তুমি ভালো থাকো আমারে কষ্ট  দিয়া , আমি কি পাপ করলাম যার শাস্তি আমারে এইভাবে দিতাছো, মানুষ বিয়ে করে বিয়ের মধ্যে নাকি বরকত থাকে আর আমি বিয়ে করছি আমার বিয়েতে বরকত নাই,আল্লাহ আমার পাপ কি তোমার রহমত থেকে ও বড়ো হয়ে গেছে ,আল্লাহ আমি তো জানি আপনি সব পারেন তো আমার রোগটা ভালো করে দেন,আল্লাহ আপনি কি শয়তানের ওয়াসোওয়াসা এর কাছে হেরে গেসেন,আল্লাহ আপনার রহমত কি শয়তানের ওয়াসোওয়াসা এর কাছে হেরে গেসে,,আল্লাহ আমি তো আপনার কাছে সাহায্য চাইতাছি আর তো কেউর কাছে চাই নাই ,,আল্লাহ আমার ডাক কি আপনি শুনতে পান না ,,আল্লাহ আমি অসহায় হয়ে আপনার কাছে সাহায্য চাইতাছি আপনি আমার ওয়াসোওয়াসা রোগটা ভালো করে দেন,,আল্লাহ আমারে ফালাইয়া দিছে ,,আল্লাহ আমারে বান্দা হিসাবে কুবল করে নাই,আল্লাহ আমারে চাইরা দিছে।এই সব গুলো কথা বলেছি আবার আল্লাহর কাছেই দুয়া করেছি। আবার নামাজ পরতাম আবার বলতাম আল্লাহ উপর বরশা আল্লাহ সব ঠিক করে দিবো।আবার যখন সমস্যা হতো তখন আবার নিরাশ হয়ে যাইতাম।হতাশ হয়ে যাইতাম। তখন আবার বলতাম আল্লাহ রে আমি কস্টে আছি তুমি কি দেখোনা ,,তুমি সব দেখতাছো এরপর কেনো এতো কষ্ট দিতাস আমারে ,,আল্লাহ রে আমারে কষ্ট দিয়া তুই কি পাইতাছোস,আমি এমন ভাবে কান্না কইরা কইতাসে তোরে সেজদায় গিয়ে কান্না করতাছি কতো দুয়া করতাছি এরপর ও আমার রোগটা ভালো কইরা দেছ না,আমার পাপ কি এতোই বড়ো যে তোমার রহমত ও হেরে গেছে,আল্লাহ আমি তো জানি তোমার অনেক শক্তি তো আমার রোগটা ঠিক করে দিতাছো না কেনো,আমার কি রোগ হইলো যে রোগের সেফা আল্লাহর কাছে নাই।এরপর আবার বলতাম আল্লাহ আমি তো তোমার কাছেই চাইতাছি ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সব ঠিক করে দিবো। এরপর আবার নামাজ পরতাম দুয়া করতাম কান্না করতাম এরপর ও আমার ওয়াসোওয়াসা রোগটা ভালো হই নাই তখন আবার নিরাশ হয়ে যায় হতাশা হয়ে যায় তখন একদম ভেংগে পরি তখন আবার বলি যে,আর নামাজ পরে কি করবো আল্লাহ তো আমার দুয়া কুবুল করে না ,,আমারে আল্লাহ ফালাইয়া দিছে,আল্লাহ আমি তো তোমার কাছেই চাইছি আর তো কেউর কাছে চাই নাই ,দুনিয়ার অন্য কোনো দেবতাদের কাছে চাই নাই আমি আপনি আল্লাহর কাছে চাইছি এরপর ও আমারে ফালাইয়া দিলেন আমার রোগটা ভালো কইরা দিলেন না,আমি আর আপনার নামাজ করে কি করম ,আমি আল্লাহ মানি না ,আমি আল্লাহ মানি না ,আল্লাহ আমারে ফালাইয়া দিছে আমি আর বাচতে চাই না,আমি মরন চাই।নিরাশ হয়ে হতাশ হয়ে রাগ হয়ে এইসব কথা বলেছি আমি। আবার কিছু খন পরে আল্লাহর কাছে দুয়া করেছি। নামাজ পরেছি।সেজদায় গিয়ে কান্না করে দুয়া করেছি। ২মাস এইভাবে  চলতে থাকে।আমি ঘরে মধ্যে ছিলাম কেউর সাথে কথা বলতাম না বেশি দরকার হলে কথা বলতাম।তখন আবার ভাবতাম যে কি কি কথা বলেছি তালাক এর কথা বলি নাই তো আবার।এমন অবস্থা ছিলো আমার। এইভাবে নামাজ পরতাম দুয়া করতাম আবার যখন সমস্যা সইতে পারতাম না তখন আবার ভেঙে পরতাম হতাশ হইতাম নিরাশ হয়ে যাইতাম। তখন আবার এইসব কথা বলা শুরু করতাম।এরপর আবার নামাজ পরতাম দুয়া করতাম। এখন আল্লাহর রহমতে আগের থেকে অনেক ভালো আছি। আল্লাহর রহমতে আমি আসতে আসতে ঠিক হইতেছে।১৫দিন আগে আমার বিতরে খেয়াল আসে আমি যে এতো কিছু বললাম তাতে শিরক ,,কুফর হয়ে গেলো নাতো।
শায়েখ এখন আমার প্রশ্ন হলো,

১.আমার এইসব কথাই শিরক,কুফর হয়েছে কিনা?
২.শিরক,কুফর হলে বিয়ে ভেঙে যাবে কি?
৩.বিয়ে ভেঙে গেলে কি তালাক পতিত হবে? বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সময় থেকে ৩ইদ্দত পার হলে কি তালাক পতিত হবে?
৪.নতুন করে বিয়ে করতে হলে কি নতুন করে মুহর দরতে হবে নাকি আগের মুহর দরে  বিয়ে করলে হবে?নতুন করে মুহর দরলে কি আগের মুহর বাতিল হয়ে যাবে?
৫.এইসব কিছু আমি আর আমার স্ত্রী জানি আমার ঘরের কেউ জানে না। এইসব কিছু আমার ঘরের মানুষকে বলতে লজ্জা লাগছে পারবো না বলতে। যদি বিয়ে ভেঙে যায় এমন অবস্থা বিয়ে কিভাবে করব?

৬.আমি  আমার মার সাথে রাগ করে হাত জোর করে মাথা নতো করে খাবার খাওয়ার জন্য বলেছি। আমি যে হাত জোর করে মাথা নতো করেছি তাতে কি শিরক বা কোনো কিছু হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত লিখা পড়েছি, আপনি ৬ টি প্রশ্ন নিয়ে এসেছেন। কোনো প্রশ্ন দ্বারা আপনার কোনোই সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...