আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (17 points)

ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ

বাড়ীতে আমি ও আমার ওয়াইফ নিসাব পরিমাণ অর্থের মালিক। তাই আমার ও আমার ওয়াইফের পক্ষ হতে কুরবানীর জন্য একটি পশুর দুইটি ভাগে সামিল হয়েছি। আমার বাবা রিটায়ারড পার্সোন। উনার মতে উনার নেসাব পরিমাণ অর্থ নেই এবং বোনাস যা পেয়েছিলেন আমাকে দিয়েছেন। আমি নিয়ত করেছিলাম আমি সে টাকার সাথে আরো টাকা মিলিয়ে আমার আব্বার পক্ষ থেকে একটি কুরবানী দিবো। এখন আমার বাবার পক্ষের এক ভাগের কুরবানীর ভাগ না পাওয়ায়, অন্য ছোট পশু (ছাগল / খাশি) বাসায় আলাদা ভাবে কুরবানীর আয়োজন করা বাড়ীতে কষ্ট সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি আমার বাবার টাকার সাথে কিছু যোগ করে আমার বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়ার নিয়ত করেছিলাম তার জন্য কি সেই কুরবানী দেওয়াটা ওয়াজিব হয়ে গেছে (আমার নিয়ত করার কারনে)? সে কুরবানী না দিলেও কি কোন শরয়ী সমস্যা হবে (কুরবানীর পশু এখনো কেনা হয়নি)।

1 Answer

0 votes
by (565,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

শরীয়তের বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। 

সুতরাং কাহারো কাছে যদি স্বর্ণের পাশাপাশি টাকা থাকে,তাহলে তার জন্য করনীয় হলো এই টাকা আর উক্ত স্বর্ণের মূল্য হিসেব করে সারে বাহান্ন ভরি রুপার সমমূল্য হয়েছে কিনা?
হলে তার উপর যাকাত,কুরবানী আবশ্যক হবে।

যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ হতে যিলহজ্ব মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্ত, এ সময়ের মাঝে কোনো সময়ে আপনি যদি সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি সমপরিমাণ মূল্যের (প্রায় ৭৮০০০+ টাকার) মালিক হোন,আর তাহা যদি দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,সেক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে, নতুবা কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
যে ব্যাক্তি সাহেবে নেসাব নন,সে যদি কুরবানীর নিয়ত করে,এখনো পশু ক্রয় না করে,এক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিয়ত করার দরুন তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।
হ্যাঁ,সে যদি কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করে,তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। 

بدائع الصنائع :
"أن الشراء من الفقير للأضحية بمنزلة النذر". (5/ 66، کتاب التضحیۃ،ط: سعید)
সারমর্মঃ-
কুরবানীর নিয়তে ফকির ব্যাক্তির পশু ক্রয় মান্নতের সমপর্যায়ের।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যায়নি।

এক্ষেত্রে কুরবানী না দিলেও কোন শরয়ী সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 157 views
...