আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
নামাজ পড়া শুরু করলেই, ধর্ম নিয়ে চিন্তা করলেই প্রান্তিকতায় চলে যাই।
মানুষকে এটা জানাতে হবে, মানুষকে জানালে আমার সওয়াব হবে, মানুষ হয়তো এটা জানে না। এগুলাই ঘুরে মাথায়।
আর ধর্ম নিয়ে মানুষের দোষগুলা মাথায় আসতে থাকে। তাদেরকে দেখলেই মনে হয় ধর্ম নিয়ে কিছু একটা বলতে হবে।

কথার পরিমাণ বাড়ানো দরকার। নাহলে সাহসও বাড়েনা। আর মানুষকে ধর্ম নিয়ে কিছু বলতেও পারিনা। ভাবি তারা মনে হয় ভালো মনে করবে না।

কথা বলতে না পারার কারণে এখন মনের অবস্থাও খুব খারাপ থাকে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াকে আমি অনেক বড় কিছু মনে করি এবং এটা পড়তে পারলেই মনে হয় অনেক বড় কিছু করে ফেললাম, ধর্ম নিয়ে অনেক বেশি কিছু করে ফেললাম। বেশি সওয়াবের কাজ করে ফেলছি মনে করি। তখন গুনাহের / অপছন্দনীয় কাজ করতে পারলে মনে হয় ভালো লাগছে।

মানুষকে দেখানোর একটা টেন্ডেন্সই কাজ করে, তাদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে হবে, আমার যেকোনো ভালো দক্ষতা তাদেরকে দেখাতে হবে।

আবার নামাজ পড়া স্বর্ণা মনে হয় মানুষের সাথে কথা বললে ঈমান কমে যাবে। আর এভাবেই ধৈর্য পরিশ্রম করার মানসিকতা একেবারে কম ছোটবেলা থেকেই খুবই কম কথা বলি, ভয় পাই আসলে।

এখন আমি মনে করছি যে আমার জন্য সেক্রেটিস্ট অথবা মাইন্ড ট্রেনিং নিয়ে কাজ করেন এমন কারো কাছে যাওয়াও জরুরি।

জীবনের বেসিক কমন সেন্স এখনো গ্রো করেনি মানুষের সাথে মিশতে ভালো লাগে না বিরক্ত লাগে। কথাও বলতে পারিনা ঠিকমতো।

ঈমান এবং আবেগের পার্থক্য জানতে চাই।

আমি আলহামদুলিল্লাহ নামাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছি ঠিকই যে এটা পড়ার জরুরী কিন্তু বাদ বাকি জিনিসগুলো সেটা কি আসলেই আমার ঈমান নাকি এটা শুধু আবেগ ছিল।

কারণ তখন আমি খুব অলস হয়ে যাই , আমার কাছে মনে হতো শুধু ধর্মই জীবন। প্রান্তিকতা কাজ করতো আর যাদের কাছে ঈমান এসেছে দেখেছি তারা সেটার জন্য পরিশ্রম করেছে কিন্তু আমি শুধু আরেকজনের সাথে মিশেই নিজেকে তার মত মনে করতে শুরু করেছিলাম।

অনেক বছর হয়ে যায় আসলে নামাজ সম্পর্কে জানতে পারি।  কিন্তু এখনো আমি ওভাবে আমার তেমন উন্নতি হচ্ছে না জীবনের গতি আসছে না, সিদ্ধান্তহীনতা আত্মবিশ্বাসহীনতা সব সময় কাজ করে।
মাঝেমধ্যে খুব প্রেসার আসছে নামাজ এর অবস্থা ও খুব খারাপ হয়ে যায় যেমন পরীক্ষা পড়াশোনা পেশার যদিও সেটা কোন পেশার না তাও আমার কাছে অনেক মনে হয়

আবার নামাজ পড়তে গেলে ভাবি যে মানুষ হয়তো দেখে আমাকে অনেক কিছু ভাবছে অনেক ধার্মিক হয়ে গেছি। একটু ইবাদত করলেই মনে হয় মানুষ আমাকে অনেক ভালো ভাবছে। কেমন যেন নিজের জন্য নিজে থেকে করতে পারি না, খুবই কম সময় করা হয় সেটা এভাবে ইবাদতের পরিমাণও একেবারে আগানো হয় না। আমি মনে মনে অনেক কিছু ভাবি মানুষ সম্পর্কে যেটা সে আদৌ ভাবছে না।

ঘরের মানুষকে বিভিন্ন জিনিস জানানোটা জরুরী, যেটা ও করা হয় না, আগে তো একটু হলেও হতো।

আর যেকোনো একটা ইবাদতের কথা শুনলে, সেটা অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও, মনে হয় যে আমার এখনই সবটা করে ফেলতে হবে ,এখনই এটা পেয়ে ফেলতে হবে ।এরকম।

আমার ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করা হচ্ছে না, আগানো হচ্ছে না।

মনে হয় মানুষ আমাকে কি ভাববে।
আর কথা বলতে ভয় পাওয়ার কারণে মানুষের অধিকারও ঠিক মতো আদায় করতে পারিনা।

হিজাব যদি কেউ এই কারনে পরিধান করে যে মানুষ হয়তো তার দিকে তাকিয়ে আছে, তাকে নিয়ে কিছু ভাবছে মানুষ তাকে দেখবে এটা কি রকম। এই জন্য সে হিজাব শুরু করে এবং মুখো ঢাকে।সেটা কি সঠিক হবে ?এখন মনে হচ্ছে যে সেটা পরিপূর্ণ পর্দা হয়নি. তাই আবার পিছাতে চাচ্ছে।

আমার এক বেশ ঈমানদার সহপাঠী, আমি নিজেকে তার মতো মনে করেছিলাম সে কিছু বিষয়ে যে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমিও তাই করেছিলাম । কিন্তু এখন আমার অনেক আফসোস হয় আসলে কারণ আমার ঈমানের লেভেল তার মত না আসলে এটা আমি বুঝতে পারি এখন ।আমি আবার কিছু জিনিস নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে যদিও সেগুলো সোয়াবের কাজ হবে না বরং উল্টোটাই হবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।

আমি অনুমান ধারণা করি খুব। নিয়ম কানুন ও পরীক্ষা ভয় পাই।

নিজেকে প্রকাশ করতে, এমনকি মত প্রকাশ করতেও ভয় পাই।

ভালো কাজ করতে নিলে ঘুম ঘুম আসে জড়তা কাজ করে কনযেস্টেড লাগে, ওই কাজটা যে করছি সেটা বলতে প্রকাশ করতে লজ্জ পাই ।ভাবি যে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তখন আমি যদি বলি যে আমি এ কাজ করছি সেভাব্বে যে আমি খুব ঈমানদার হয়ে গেছি।

কোনো আমল করতে গেলে এই কথা মাথায় আসে যে আমি তত ঈমানদার না আমার ঈমান এখনো অত বাড়েন।

আমার মনে হয় যে আমি আসলে হিদায়াত পেয়েছি কিনা। নাকি এটা শুধুই আবেগ। পরিশ্রম থেকে বাঁচার জন্য, কারণ আমি মনে করি দ্বীন তো সহজ। আর বাস্তব জীবনে অনেক পরিশ্রম।

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


কোনো বিষয়ে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত যদি মন থেকে আসে, তাহলে সেটি আবেগ।
আবেগের কাজে যুক্তি থাকতেও পারে,নাও পারে।
আবেগ অনুভূতি দ্বারা পরিচালিত হয়।

ঈমান অর্থ বিশ্বাস । ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও তদনুযায়ী আমল করাকে ঈমান বলে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন থেকে বুঝা যায় যে আপনি দ্বীন পালনকে কিছুটা কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন।
এটি কাম্য নয়।
,
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তা চান আর যা তোমাদের জন্য কষ্টকর, তা চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)

মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই দীন সহজ। তোমাদের কেউ যেন দীনকে কঠিন করে না ফেলে, অর্থাৎ সাধ্যের বাইরে নিজের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে না দেয়; বরং সামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করে। তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে। পূর্ণতায় পৌঁছাতে না পারলে কাছাকাছি থাকবে। আশান্বিত থাকবে এবং সকাল-বিকেল ও রাতের একাংশে ইবাদত করে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।’ (বুখারি: ৩৯)

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ কারও ওপর এমন কোনো কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যাতীত।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)

আরও এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এ তো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের ধর্ম।’ (সুরা হজ: ৭৮)

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) খুতবা দিতে গিয়ে দেখলেন, এক ব্যক্তি সূর্যতাপে দাঁড়িয়ে আছে। নবী (সা.) লোকটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বলা হলো, ‘লোকটি আবু ইসরাইল, সে দাঁড়িয়ে থাকার মান্নত করেছে। সে বসবে না, ছায়া গ্রহণ করবে না, কারও সঙ্গে কথা বলবে না এবং রোজা রাখবে।’ নবী (সা.) বললেন, ‘তোমরা তাকে নির্দেশ করো—সে যেন কথা বলে, ছায়া গ্রহণ করে, বসে এবং রোজা পূর্ণ করে।’ (বুখারি: ৬৩২) এখানে নবী (সা.) লোকটিকে বাড়াবাড়ি থেকে নিবৃত্ত করলেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...