নামাজ পড়া শুরু করলেই, ধর্ম নিয়ে চিন্তা করলেই প্রান্তিকতায় চলে যাই।
মানুষকে এটা জানাতে হবে, মানুষকে জানালে আমার সওয়াব হবে, মানুষ হয়তো এটা জানে না। এগুলাই ঘুরে মাথায়।
আর ধর্ম নিয়ে মানুষের দোষগুলা মাথায় আসতে থাকে। তাদেরকে দেখলেই মনে হয় ধর্ম নিয়ে কিছু একটা বলতে হবে।
কথার পরিমাণ বাড়ানো দরকার। নাহলে সাহসও বাড়েনা। আর মানুষকে ধর্ম নিয়ে কিছু বলতেও পারিনা। ভাবি তারা মনে হয় ভালো মনে করবে না।
কথা বলতে না পারার কারণে এখন মনের অবস্থাও খুব খারাপ থাকে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াকে আমি অনেক বড় কিছু মনে করি এবং এটা পড়তে পারলেই মনে হয় অনেক বড় কিছু করে ফেললাম, ধর্ম নিয়ে অনেক বেশি কিছু করে ফেললাম। বেশি সওয়াবের কাজ করে ফেলছি মনে করি। তখন গুনাহের / অপছন্দনীয় কাজ করতে পারলে মনে হয় ভালো লাগছে।
মানুষকে দেখানোর একটা টেন্ডেন্সই কাজ করে, তাদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে হবে, আমার যেকোনো ভালো দক্ষতা তাদেরকে দেখাতে হবে।
আবার নামাজ পড়া স্বর্ণা মনে হয় মানুষের সাথে কথা বললে ঈমান কমে যাবে। আর এভাবেই ধৈর্য পরিশ্রম করার মানসিকতা একেবারে কম ছোটবেলা থেকেই খুবই কম কথা বলি, ভয় পাই আসলে।
এখন আমি মনে করছি যে আমার জন্য সেক্রেটিস্ট অথবা মাইন্ড ট্রেনিং নিয়ে কাজ করেন এমন কারো কাছে যাওয়াও জরুরি।
জীবনের বেসিক কমন সেন্স এখনো গ্রো করেনি মানুষের সাথে মিশতে ভালো লাগে না বিরক্ত লাগে। কথাও বলতে পারিনা ঠিকমতো।
ঈমান এবং আবেগের পার্থক্য জানতে চাই।
আমি আলহামদুলিল্লাহ নামাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছি ঠিকই যে এটা পড়ার জরুরী কিন্তু বাদ বাকি জিনিসগুলো সেটা কি আসলেই আমার ঈমান নাকি এটা শুধু আবেগ ছিল।
কারণ তখন আমি খুব অলস হয়ে যাই , আমার কাছে মনে হতো শুধু ধর্মই জীবন। প্রান্তিকতা কাজ করতো আর যাদের কাছে ঈমান এসেছে দেখেছি তারা সেটার জন্য পরিশ্রম করেছে কিন্তু আমি শুধু আরেকজনের সাথে মিশেই নিজেকে তার মত মনে করতে শুরু করেছিলাম।
অনেক বছর হয়ে যায় আসলে নামাজ সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু এখনো আমি ওভাবে আমার তেমন উন্নতি হচ্ছে না জীবনের গতি আসছে না, সিদ্ধান্তহীনতা আত্মবিশ্বাসহীনতা সব সময় কাজ করে।
মাঝেমধ্যে খুব প্রেসার আসছে নামাজ এর অবস্থা ও খুব খারাপ হয়ে যায় যেমন পরীক্ষা পড়াশোনা পেশার যদিও সেটা কোন পেশার না তাও আমার কাছে অনেক মনে হয়
আবার নামাজ পড়তে গেলে ভাবি যে মানুষ হয়তো দেখে আমাকে অনেক কিছু ভাবছে অনেক ধার্মিক হয়ে গেছি। একটু ইবাদত করলেই মনে হয় মানুষ আমাকে অনেক ভালো ভাবছে। কেমন যেন নিজের জন্য নিজে থেকে করতে পারি না, খুবই কম সময় করা হয় সেটা এভাবে ইবাদতের পরিমাণও একেবারে আগানো হয় না। আমি মনে মনে অনেক কিছু ভাবি মানুষ সম্পর্কে যেটা সে আদৌ ভাবছে না।
ঘরের মানুষকে বিভিন্ন জিনিস জানানোটা জরুরী, যেটা ও করা হয় না, আগে তো একটু হলেও হতো।
আর যেকোনো একটা ইবাদতের কথা শুনলে, সেটা অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও, মনে হয় যে আমার এখনই সবটা করে ফেলতে হবে ,এখনই এটা পেয়ে ফেলতে হবে ।এরকম।
আমার ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করা হচ্ছে না, আগানো হচ্ছে না।
মনে হয় মানুষ আমাকে কি ভাববে।
আর কথা বলতে ভয় পাওয়ার কারণে মানুষের অধিকারও ঠিক মতো আদায় করতে পারিনা।
হিজাব যদি কেউ এই কারনে পরিধান করে যে মানুষ হয়তো তার দিকে তাকিয়ে আছে, তাকে নিয়ে কিছু ভাবছে মানুষ তাকে দেখবে এটা কি রকম। এই জন্য সে হিজাব শুরু করে এবং মুখো ঢাকে।সেটা কি সঠিক হবে ?এখন মনে হচ্ছে যে সেটা পরিপূর্ণ পর্দা হয়নি. তাই আবার পিছাতে চাচ্ছে।
আমার এক বেশ ঈমানদার সহপাঠী, আমি নিজেকে তার মতো মনে করেছিলাম সে কিছু বিষয়ে যে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমিও তাই করেছিলাম । কিন্তু এখন আমার অনেক আফসোস হয় আসলে কারণ আমার ঈমানের লেভেল তার মত না আসলে এটা আমি বুঝতে পারি এখন ।আমি আবার কিছু জিনিস নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে যদিও সেগুলো সোয়াবের কাজ হবে না বরং উল্টোটাই হবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
আমি অনুমান ধারণা করি খুব। নিয়ম কানুন ও পরীক্ষা ভয় পাই।
নিজেকে প্রকাশ করতে, এমনকি মত প্রকাশ করতেও ভয় পাই।
ভালো কাজ করতে নিলে ঘুম ঘুম আসে জড়তা কাজ করে কনযেস্টেড লাগে, ওই কাজটা যে করছি সেটা বলতে প্রকাশ করতে লজ্জ পাই ।ভাবি যে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তখন আমি যদি বলি যে আমি এ কাজ করছি সেভাব্বে যে আমি খুব ঈমানদার হয়ে গেছি।
কোনো আমল করতে গেলে এই কথা মাথায় আসে যে আমি তত ঈমানদার না আমার ঈমান এখনো অত বাড়েন।
আমার মনে হয় যে আমি আসলে হিদায়াত পেয়েছি কিনা। নাকি এটা শুধুই আবেগ। পরিশ্রম থেকে বাঁচার জন্য, কারণ আমি মনে করি দ্বীন তো সহজ। আর বাস্তব জীবনে অনেক পরিশ্রম।