বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কাউকে তার নিজের নাম এবং তার মায়ের নাম জিজ্ঞেস করে যদি কেউ রুকইয়াহ করতে চায়,যদি এতে সে শিরকি কোনো কাজের দ্বারস্থ না হয়,তাহলে এতে নাজায়েযের কিছু নেই।তবে শিরকি কাজের দ্বারস্থ হলে সেটা অবশ্যই অবশ্যই নাজায়েয ও হারাম বলে বিবেচিত হবে।
তবে আমাদের অভিজ্ঞতা হল,
এভাবে নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করে অধিকাংশ মুদাব্বির প্রথমত রোগীর বিশ্বস্থতা অর্জন করতে চায়।আমরা পূর্ববর্তী বুজুর্গানে কেরামদেরকে দোখেছি,তারা তাদবির করেছেন।তাদবির করতে যেয়ে তারা কাউকে এমন করে জিজ্ঞেস করেননি।বরং তাদের নিকট তাদবিরের কথা বলার সাথে সাথেই তারা ফু ফা দিয়ে দু'আ করে দিয়েছেন।আল্লাহর হুকুম হলে রোগী সাথে সাথেই ভালো হয়ে গিয়েছে।
তাছাড়া আবু-সাঈদ খুদরী রাযি বর্ণিত সূরা ফাতেহা সম্ভলিত রুকইয়ার হাদীসেও আমরা নাম ঠিকানার কোনো আভাস পাইনি।
যাইহোক, মুদাব্বির কর্তৃক নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করা নাজায়েয নয়।এবং দিলে যে তারা জাদু করবে,সেটাও নিশ্চিত নয়।সুতরাং মুদাব্বিরের কাছে,নাম ঠিকানা দেওয়া একটি মুবাহ বিষয়।
আয়না পড়া দিয়ে চোরকে দেখানো,সেটা জায়েয হবে না।কেননা গাইবের সংবাদ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানেনা।
قُل لَّا يَعْلَمُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ
বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।(সূরা নামল-৬৫)
তাছাড়া এতে অনেক সময় নিরাপরাধ মানুষের নাম চলে আসতে পারে বা ঝগড়া ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে।সুতরাং এভাবে চোর ধরার পদ্ধতি গ্রহণ করা কখনো শরীয়ত সম্মত হতে পারে না।