আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
১। তালাক হওয়ার ক্ষেত্রে এবং

২। অমুসলিম থেকে মুসলিম হলে অথবা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে অমুসলিম হলে?

৩। তালাক হলে স্বামী বা স্ত্রীর পরিবারের লোকজনের খোঁজ নিলে, দেখা করলে, হাদিয়া দিলে, সামাজিকতা বজায় রাখলে এটা কি শরীয়ায় অপছন্দীয় কোনো বিষয় হবে?

৪। এক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর কেউ যদি মুসলিম হিসেবে অপরের জন্য কল্যাণের দুআ করে আর মনে যদি এই ইচ্ছে থাকে আল্লাহ যদি তার স্বামী বা স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিতেন তাহলে এটা কি সাধারণ মুসলিমদের জন্য নাজায়েজ বা অনুত্তম কোনো বিষয় হবে?

৫। আচ্ছা উস্তায যদি এমন হয় কোনো ভাই বা বোনের তিন তালাক হয়েছে তখন তো কোনোভাবেই তারা আবার সরাসরি বিয়ে করতে পারবেন না। আল্লাহর বিধান তো কোনোভাবে লঙ্ঘন করা যাবে না মুসলিম হিসেবে। তখন কেউ যদি দুআ করে তার স্বামী বা স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার এটা কি নাজায়েজ বা হারাম হবে? এই প্রশ্নটা ফেসবুকের একটা গ্রুপে একজন প্রশ্ন করেছিলেন কিন্তু কেউ উত্তর দেননি। আমি জানি দুআ করার ক্ষেত্রে হারাম কোনো বিষয় , কাউকে জুলুম করা আর আত্নীয়র সম্পর্ক ছিন্ন করার মত কিছু চাইতে হয় না। তাহলে দু'আ র আদবের খেলাফ হয়। তাহলে তিন তালাকের পর স্বামী স্ত্রীর পরস্পরকে ফিরে পাওয়ার দুআ কি এর আওতায় পড়বে? যদি কেউ এই দুআ করে আর তার পর যদি এমন হয় ওনাদের অন্য কারও সাথে আবার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবে ভুলতে পারছেন না নিজেদেরকে। খারাপ চিন্তা যদি নাও আসে তাও মাথাতে যদি থাকে সবসময় ওনারা স্বামী স্ত্রী ছিলেন একসময়৷ আর এটা তো সত্যি তালাক হলেও আল্লাহর সাহায্য ছাড়া একেবারে ভুলে যাওয়াটা কঠিন হতে পারে। তখন আগের স্বামী স্ত্রীর কথা মনে করে যদি তাদের কান্না আসে, যেহেতু তাদের বর্তমান স্বামী স্ত্রী আছে তাই আগের স্বামী স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার দুআ না করলেও কল্যাণের দুআ যদি করে আগের স্বামী স্ত্রীর জন্য তাহলে বর্তমান স্বামী স্ত্রীর ওপর কি জুলুম হবে না উস্তায? এতে কি গুনাহ হবে না উস্তায? আর যদি বর্তমান স্বামী স্ত্রী থাকার পরও পূর্বের স্বামী স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার দুআ করে এটা কি হারাম হবে না?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত।
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ» . قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الِاسْتِعْجَالُ؟ قَالَ: يَقُولُ: قَدْ دَعَوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أَرَ يُسْتَجَابُ لِي فَيَسْتَحْسِرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَيَدَعُ الدُّعاءَ . رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার (প্রতিটি) দু’আ কবূল করা হয়, যে পর্যন্ত না সে গুনাহের কাজের জন্য অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য এবং তাড়াহুড়া করে দু’আ করে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেন, (দু’আ করে) এমনভাবে বলা যে, আমি (এই) দু’আ করেছি। আমি (তার জন্য) দু’আ করেছি। আমার দু’আ তো কবূল হতে দেখছি না। অতঃপর সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং দু’আ করা ছেড়ে দেয়। ( সহীহ : মুসলিম ২৭৩৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪২৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৮৮১, আল আদাবুল মুফরাদ ৬৫৪, সহীহ আল জামি‘ ৭৭০৫,মিশকাত-২২২৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তিন তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে হালালভাবে পাওয়া সম্ভব।সুতরাং তিন তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে পাওয়ার জন্য দু'আ করা কিংবা তিন তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী জন্য তার তালাক দাতা স্বামীর সাথে পূনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দু'আ করা নাজায়েয বা হারাম হবে না।এটা হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ জিনিষের আওতাধীন হবে না।


স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ হলে শশুর শাশুড়ি তখনও মাহরাম থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...