বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরীয়ত বিরোধী নয় এমন ট্রাফিক আইনকে মান্য করা শরীয়তের দৃষ্টিতে ওয়াজিব।কেননা মানুষের জান-মালের হেফাজতের নিমিত্তেই ট্রাফিক আইনকে প্রনয়ণ করা হয়েছে।সুতরাং ট্রাফিক আইনকে অমান্য করার ক্ষতি শুধুমাত্র চালককেই যে স্পর্শ করবে বিষয়টা এমন নয়,বরং এর ক্ষতি জনসাধারণ পর্যন্ত পৌছে যাবে।বর্তমান সময়ে যে সমস্ত দুর্ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে,এর সিংহভাগই ট্রাঠিক আইনকে না মানার কারণেই সংগঠিত হচ্ছে।
ট্রাফিক আইনকে না মানার জন্য পর্যায়ভেদে শরীয়ত বিভিন্ন প্রকার শাস্তির বিধানও রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সে হিসেবে আপনার উপর ওয়াজিব সর্বাবস্থায় ওয়াজিব হচ্ছে, ট্রাফিক আইনকে মান্য করা।নিজে বাঁচা এবং অন্যদের আপনার ক্ষতি থেকে বাঁচানো।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
لا ضرر ولا ضرار
ইসলামে নিজেকে ক্ষতি পৌছানো নেই এবং অন্যকেও ক্ষতি পৌছানো যাবে না।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৩৪০)
সুতরাং দ্রুত যাওয়ার জন্য বা বিকল্প রাস্তা হিসেবে রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে বা উল্টোপথে আপনি যেতে পারবেন না।বেশী সময় লাগলেও ট্রাফিক আইনকে মানতে হবে।এটা আপনার উপর অত্যাবশ্যকীয়।
তবে যদি রাস্তায় কোনো বাঁক না থাকে,এবং রাস্তা পুরোপুরি জনশূন্য থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় প্রয়োজনে আপনি উল্টো পথে নিজ গাড়ীকে নিয়ে যেতে পারবেন।
প্রশ্ন হতে পারে,বাংলাদেশের ট্রাফিক আইন হচ্ছে, বাম দিকে গাড়ী চালানো।যা সরাসরি ইসলামি আইন বিরোধী।এখন বামদিকে গাড়ী চালানোর আইন মানা কি ওয়াজিব?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হবে যে,
প্রথমত সমস্ত মুসলামনের উপর ওয়াজিব,ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টা করা ও এর জন্য শান্তিপূর্ণ মানবিক আন্দোলন করা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/356
ডানদিকে চলাচল অবশ্যই ইসলামি খেলাফতের একটি অংশ।এবং ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টা করা ও এর জন্য প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা শুধুমাত্র একা চালকের দায়িত্ব নয় বরং সমস্ত মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।সুতরাং যতদিন না ডানদিকে চলাচল শুরু হচ্ছে,ততদিন পর্যন্ত প্রচলিত ট্রাফিক আইনকে মানতে হবে।যদি শরীয়তের অজুহাত দেখিয়ে কেউ অমান্য করতে চায়,এবং এজন্য কোনো দুর্ঘটনা পতিত হয়,তাহলে এর দায়ভার উল্টোপথের চালকের উপরই বর্তাবে।
মোটকথাঃ শরীয়ত বিরোধী নয় এমন ট্রাফিক আইনকে মান্য করা ওয়াজিব।আর শরীয়ত বিরোধী হলে,সম্মিলিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আইনকে বদলানোর পূর্ব পর্যন্ত মান্য করা জরুরী।