ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)
ছেলের পক্ষ্য থেকে একটি ছাগল দ্বারা আকিকা করলেও তা যথেষ্ট হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৫৩৫)
কুরবানির মত আকিকার গোশতের এক তৃতীয়াংশকে সদকাহ করা হবে, এবং এক তৃতীয়াংশককে রান্না করে যিয়াফত করা হবে,এবং এক তৃতীয়াংশকে নিজের জন্য রাখা যাবে।
رد المحتار: (328/6، ط: دار الفکر)
والأفضل أن یتصدق بالثلث ویتخذ الثلث ضیافة لأقربائہ وأصدقائہ ویدّخر الثلث .... ولو حبس الکل لنفسہ جاز، لان القربۃ فی الاراقۃ والتصدق باللحم تطوع....الخ
(২)একই গরুতে ৬ নামে কুরবানি ও ১ নামে আকিকা দেওয়া হলে তার গোশত বন্টন পদ্ধতিও কুরবানির মত। তথা ৭ ভাগের ১ ভাগকে তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য একভাগ যিয়াফত বা আত্মীয় স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ গরীব মিসকিনদের জন্য। কুরবানির গোশত বন্টন করা মুস্তাহাব আর আকিকার গোশতকে রান্না করে আত্মীয় স্বজনকে আহার করানো মুস্তাহাব।
(৩)
বাচ্চার বাবার সামর্থ্য থাকা সত্বেও বাচ্চার নানা আকিকার পশু ক্রয়ের টাকা দিয়ে দিতে পারবে।
কুরবানির সাথে আকিকা করা জায়েয।তবে উত্তম হল, পৃথকভাবে কুরবানি করা এবং পৃথকভাবে আকিকা করা। সুতরাং আপনারা পৃথকভাবে কুরবানি করবেন।এবং পৃথকভাবে আকিকা করে নিবেন।হ্যা, একত্রে একই পশুতে কুরবানি ও আকিকার নিয়ত করলে উভয়টাই আদায় হবে।
