ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
গর্ভের সময়ে রক্তপাত হতে পারে।এই রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত মনে করা হবে। তখন নামায রোযা করতে হবে।
এ বিষয়ে বিন্নুরি মাদরাসার একটি দারুল ইফতার ফাতাওয়া দ্রষ্টব্য।
ایک عورت ہےجس کوڈیڑھ مہینےکاحمل ہے اور40دن سےان کوحیض نہیں آیاہے، پھر 6دن تک صرف خون آیا، ایساخون جونہیں بہتاہے، پھر 2دن بعدخون نکلناشروع ہو گیا، خون کایہ چوتھا دن ہے، اب یہ خون حیض میں شمارہوتاہےیانہیں ؟روزے رکھنےہیں یانہیں؟
جواب
حمل کے زمانہ میں حیض نہیں آتا؛ لہٰذا حاملہ کو جو تھوڑا تھوڑا خون آرہا ہے یہ حیض نہیں ہے، استحاضہ (بیماری کا خون) ہے، پس نماز اور روزے کے معاف ہونے کا حکم نہیں ہے، پاکی حاصل کرکے نماز اور روزے کی ادائیگی کریں۔ فقط واللہ اعلم
فتوی نمبر : 144008201203
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
(২)
ﻋَﻦْ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺑْﻦِ ﺟَﻌْﻔَﺮٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺃَﻃْﻌِﻤُﻮﺍ ﺣُﺒْﻼﻛُﻢُ ﺍﻟﻠِّﺒَﺎﻥَ؛ ﻓَﺈِﻥْ ﻳَﻜُﻦْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻬَﺎ ﺫَﻛَﺮٌ ﻳَﻜُﻦْ ﺫَﻛِﻲَّ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐِ ، ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﻜُﻦْ ﺃُﻧْﺜَﻰ ﻳَﺤْﺴُﻦُ ﺧُﻠُﻘُﻬَﺎ ﻭَﺗَﻌْﻈُﻢُ ﻋَﺠِﻴﺰَﺗَﺎﻫَﺎ )
رواه ابو نعيم في (ﺃﺭﺑﻌﻮﻥ ﺣﺪﻳﺜًﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﻣﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ ) رقم الحديث 38
রাসূলুল্লাহ বলেন,তোমরা গর্ভবর্তী মহিলাদের দুধ পান করাও।যদি গর্ভে ছেলে সন্তান থাকে তাহলে সে অত্যান্ত বুদ্ধিমান হবে।আর যদি মেয়ে সন্তান থাকে তাহলে তার চরিত্র সুন্দর হবে এবং তার শারিরিক গঠন ও অভয়ব সুন্দর হবে।
এক বর্ণনায় এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
তোমরা আতাফল ভক্ষণ করো।এবং পরস্পর হাদিয়া প্রদান করো।এবং তোমাদের গর্ভবর্তী মা'দের কে তা ভক্ষণ করাও।কেননা অাতাফল সন্তানাদিগকে সুন্দর করে।
হাজেরা আঃ কে অনুসরণ করে পাহাড় বা এ জাতীয় স্থানে গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য কিছু সময় দৌড়ানো উচিৎ।
খাওয়াতিনে ইসলামি ইন্সাইক্লোপিডিয়া:৪০৭
গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান ভূমিষ্ঠের পর খেজুর খাওয়া সাস্থ্যকর।যেমনঃ-
হযরত ঈসা আঃ এর জন্মের পর হযরত মরিয়ম আঃ কে লক্ষ্য করে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻫُﺰِّﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚِ ﺑِﺠِﺬْﻉِ ﺍﻟﻨَّﺨْﻠَﺔِ ﺗُﺴَﺎﻗِﻂْ ﻋَﻠَﻴْﻚِ ﺭُﻃَﺒًﺎ ﺟَﻨِﻴًّﺎ
আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।
সূরা মরিয়ম-২৫
বুজুর্গানে কেরাম বলেন,
গর্ভধারণের সময় কুরআন তেলাওয়াত সহ সকল প্রকার ইবাদত বেশী বেশী করে করলে সন্তান নেককার হয়।
যতটুকু সম্ভব বেশী বেশী করে ফরয সহ নফল ইবাদত করলে, এবং নেককার/বুজুর্গানে কেরামদের অভয়বকে কল্পনায় রাখলে সন্তান নেককার হয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে পরামর্শ দেবো যে,আপনি শুধুমাত্র আল্লাহকে বলুন।যাতে আল্লাহ সবকিছু ঠিকঠাক মত রাখেন। সকল প্রকার নেক আ'মল গর্ভবর্তী মহিলা করবে।বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করবে।গর্ভাবস্থায় বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াতে সন্তান উত্তম চরিত্রের অধিকারী হয়।