আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী রহ. থেকে বর্ণিত:
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বলতেন, অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে, তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীন পালন করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় মাস'আলা-মাসাঈল না জানার দরূণ যেসব ভাই-বোন সমস্যার সম্মুখীন হোন, তাদের সহযোগিতা করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস, আইওএম আই-ফতোয়া সাইট।
মুহতারাম/মুহতারামাহ!
বর্তমানে প্রতিটি বিষয়ের আলোচনা এত বিশদ যা ভার্চুয়াল মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরা দুষ্কর। আপনার উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এজাতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পেক্ষাপটসহ অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয় যা অনলাইনে সম্ভব নয়। তাই এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য নিজের এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যন্ত জরুরী এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াতটি ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)
তাই আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্বশরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন ইনশা আল্লাহ।