১) চোখের জিনা ও মনের জিনা
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
قال النبي : { ما تركت بعدي فتنة أضر على الرجال من النساء } [متفق عليه]
আমি পুরুষের জন্য মহিলা থেকে ক্ষতিকারক ফিতনা আর কিছু রেখে যাচ্ছি না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ আরো বলেন,
{... فاتقوا. الدنيا واتقوا النساء، فإن أول فتنة بني إسرائيل كانت في النساء } [رواه مسلم].
দুনিয়াকে ভয় করো এবং মহিলাদেরকে ভয় করো।কেননা প্রথম ফিতনা যা বনি ঈসরাঈলে হয়েছিলো,সেটা মহিলা দ্বারাই সংগঠিত হয়েছিলো।
জারীর ইবনে আব্দিল্লাহ রাযি বলেন,
عن جرير بن عبدالله قال: { سألت رسول الله صلى عليه وسلم عن نظرة الفجاءة فأمرني أن أصرف بصري } [رواه مسلم].
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে হঠাৎ মহিলার দিকে দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,আমি যেন দৃষ্টিকে ফিরিয়ে নেই।
وقال عليه الصلاة والسلام. { يا علي، لا تتبع النظرة النظرة؟ فإن لك الأولى، وليست لك الآخرة } [رواه الترمذي وأبو داود وحسنه الألباني]
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হে আলী তুমি বারংবার দৃষ্টি দিবে না।তুমি শুধুমাত্র প্রথম বার দৃষ্টি দিতে পারবে।পরের বার আর পারবে না।
{ العينان تزنيان، وزناهما النظر } [متفق عليه]
চক্ষু যিনা করে,চক্ষুর যিনা হল,মহিলার দিকে দৃষ্টি দেয়া।
নজরের খেয়ানতের বড় পাঁচটি কু-ফল
(১)
অন্তর ফাসিদ হয়ে যায়।
(২)ইলম ভুলে যাওয়া
(৩)
মসিবত চলে আসা
(৪)
আ'মল বাতিল হয়ে যাওয়া
(৫)
আল্লাহ এবং আখেরাত সম্পর্কে গাফলতি চলে আসা
২) অনিচ্ছাকৃত ভাবে গায়েরে মারহামের সাথে ধাক্কা লাগা
৩)কম্বল না থাকার কারনে একটি কম্বলের নিচে মা মেয়ে বা বাবা ছেলে ঘুমানো
৪)পেট ভরার পরো অতিরিক্ত খাওয়া
৫) ক্ষুধা লাগা ছাড়াই খাওয়া
৬)ফাসেক লোকদের সাথে উঠাবসা করা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)চোখের জিনা ও মনের জিনা কবিরাহ গোনাহ।
(২)অনিচ্ছাকৃত ভাবে গায়েরে মারহামের সাথে ধাক্কা লাগায় কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)কম্বল না থাকার কারনে একটি কম্বলের নিচে মা মেয়ে বা বাবা ছেলে ঘুমানো মাকরুহ।
(৪)
জিহাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত
পেট ভরার পরো অতিরিক্ত খাওয়া মাকরুহ।
(৫)
ক্ষুধা লাগা ছাড়াই খাওয়া মুবাহ।তবে উদরপূর্তি করে খাওয়া মাকরুহ।
(৬)
ফাসেক লোকদের সাথে উঠাবসা করা মাকরুহ।তবে তাদের কাছে হেদায়তের বাণী পৌছানোর নিয়তে জায়েয।
