জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ ترك الصَّلَاة» . رَوَاهُ مُسلم
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মু’মিন) বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করা।
সহীহ : মুসলিম ৮২, আবূ দাঊদ ৪৬৭৮, নাসায়ী ৪৬৪, তিরমিযী ২৬২০, ইবনু মাজাহ্ ১০৭৮।
আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তা যথাযথভাবে পালন করবে, আর অবহেলাহেতু এর কোনোটি পরিত্যাগ করবে না, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার করেছেন। আর যে ব্যক্তি তা (যথাযথভাবে) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন কিংবা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৪২০]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাজ আদায় না করা মারাত্মক অপরাধ।
পরামর্শঃ-
ফজরের নামাজের জন্য উঠার জন্য রাতে আপনি আরো তারাতারি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।যদি চেষ্টা করেও না পারেন,তাহলে দিনে ঘুমানোর একটা টাইম বের করবেন।জোহরের পর বা পূর্বে কিছু সময় ঘুমানো সুন্নত।সুতরাং সুন্নতের উপর আমল করে কাইলুলাহ তথা দিনের মধ্যভাগে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে ফজরে উঠতে সুবিধা হবে,ইনশাআল্লাহ।
আপনি মোবাইলে ফজরের টাইমে প্রতি ৪/৫ মিনিট পর পর হিসেবে একাধিক এলার্ম সেট করবেন।
মোবাইল কাছে রেখে ঘুমাবেননা,ঘরের মধ্যে এমন দূরে রাখবেন,যাতে এলার্ম বন্ধ করার জন্য আপনাকে উঠতে হয়।
নামাজে ডেকে দেয়ার জন্য আপনি আপনার রুমের/বাসার অন্যান্য সদস্যদেরকে বলে রাখবেন,যাতে তারা জোড় করে হলেও আপনাকে জাগিয়ে দেন।
ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।
(০২)
টেলিভিশন দেখা যে নাজায়েজ,এ সংক্রান্ত বিষয় আগে মন থেকে বুঝতে হবে।
প্রয়োজনে হক্কানী শায়েখদের জান্নাত জাহান্নামের বয়ান শুনবেন,মাস্তুরাত জামাতে যেতে পারেন।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।
নেক লোকদের সংশ্রবে থাকবেন।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
দোয়া কবুল হওয়ার বেশকিছু শর্ত ও পদ্ধতি রয়েছে। সেই শর্ত ও পদ্ধতি মেনে দোয়া করবেন,তাহলে ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
এক্ষেত্রে মাইয়্যিত আপনার বাবার চাচা হয়।
সেই হিসেবে মাইয়্যিতের ভাইয়ের ছেলে আপনার বাবা।
তাই ওয়ারিশ হিসেবে যদি মাইয়্যিতের শুধুমাত্র
মা, স্ত্রী, কন্যা,আর ভাইয়ের ছেলে (আপনার বাবা) থাকে।
আর কেহই না থাকে।
সেক্ষেত্রে আপনার বাবাও কিছু সম্পদ পাবে।
এখানে এতিমের হক খাওয়া হবেনা,কেননা শরীয়ত এখানে এমনটিই বলেছে।
এটি আপনার বাবার প্রাপ্য হক।
এক্ষেত্রে মাইয়্যিতের মেয়ে তার বাবা অর্ধেক সম্পদ পাবে।
মাইয়্যিতের মা ৬ ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
মাইয়্যিতের স্ত্রী আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
আর মাইয়্যিতের ভাইয়ের ছেলে (আপনার বাবা) অবশিষ্ট সম্পদ পাবে।