আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহ্ উস্তাদ।

১) ছবি তুলা হারাম কিন্তু বিয়ের উদ্দেশ্যে কি পাত্রকে নিকাবসহ শুধু চোখ বের করা এমন ছবি দেওয়া যাবে?
২) শুধু পাত্রের মা ও বোন আমাকে দেখবে, এ উদ্দেশ্যে কি পাত্রের পরিবারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলা যাবে কারণ পাত্র দূরে থাকে (আমি ঢাকা আর তারা টাইঙ্গাইল)

৩)আমি জেনারেল লাইন পড়ুয়া, আর অনার্সে পড়ছি ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে, আর আইওএমে পড়ছি, আর পাত্র মাদ্রাসা পড়ুয়া ও তিনি মাওলানা পড়েছে ও মসজিদের ইমাম, এরকম প্রস্তাবে কি রাজি হওয়া ঠিক হবে?
৪) পাত্র গ্রামে থাকে আর আমি শহরে, এরকম প্রস্তাবে কি রাজি হওয়া ঠিক হবে?

৫) একজন স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর হক্ব কি কি? আর স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর হক্ব কি কি?

৬)স্বামী যদি চায় তার স্ত্রী তার শ্বাশুড়ির খেদমত করুক, এটা কেমন বিধানের মধ্যে পড়ে?
৭)পাত্রের বয়স পাত্রী থেকে তিন বছর কম। এখন পাত্র যদি বয়সে ছোট হয়, এটা কি কোনো সমস্যা হবে কি - না?

৮) পাত্র যদি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এমন হয় আর পড়াশোনা না করতে চায়, আর পাত্রী অনার্স ২য় বর্ষে পড়ে আর বিয়েরও পড়াশোনা করতে চায়, তাহলে কি এটাতে কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://www.ifatwa.info/72947/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে পাত্রিকে দেখা জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ 
تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে।
(মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫ মিশকাত ৩০৯৮।)

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلٰى مَا يَدْعُوهُ إِلٰى نِكَاحِهَا فَلْيفْعَلْ»

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে, আর যদি তার পক্ষে এমন কোনো অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা বিবাহের পক্ষে যথেষ্ট, তখন তা যেন দেখে নেয়। 

(আবূ দাঊদ ২০৮২, সহীহাহ্ ৯৯, আহমাদ ১৪৫৮৬, ইরওয়া ১৭৯১, সহীহ আল জামি‘ ৫০৬।)

★ইসলামে পাত্র-পাত্রীর সরাসরি দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে,ছবির মাধ্যমে নয় ।
কারণ- একেতো বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, ব্যবহার ও
আদান-প্রদান শরীয়তে নিষিদ্ধ ।
তাছাড়া ছবিতে বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি যাচাই সম্ভব নয় ।
অধিকন্তু পাত্রের নিকট ছবি পাঠানোর দ্বারা বারবার তার জন্য বেগানা নারীকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়।
যেটি নাজায়েজ। 
 
অথচ বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্র পাত্রীকে বারবার
দেখার বৈধতা নেই ।
তাছাড়াও এ ছবি পাত্র ব্যতীত অন্যকোন পুরুষও দেখতে পারে ।
অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে তা জায়িয নয় । এ সকল কারণে ছবির মাধ্যমে পাত্রী দেখা বা
পাত্রীর ছবি পাত্রের নিকট পাঠানো ইসলামের
দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ।
{সূত্রঃ রদ্দুল মুখতার, ৬ : ৩৭০}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিয়ের উদ্দেশ্যে পাত্রকে নিকাবসহ শুধু চোখ বের করা এমন ছবি দেওয়াও যাবেনা।
শরীয়তে এভাবে ছবি দেয়ার কোনো অনুমতি নেই।

(০২)
হ্যাঁ, এই উদ্দেশ্যে ভিডিও কল দেয়া যাবে।
তবে কোনো পুরুষ সদস্য যেনো আপনাকে না দেখে।

(০৩)
এরকম প্রস্তাবে রাজি হওয়া ঠিক হবে,কোনো সমস্যা নেই,আলহামদুলিল্লাহ। 

(০৪)
আপনি যদি বিষয়টি মেনে নিতে পারেন,গ্রামের পরিবেশে গিয়ে সংসার যদি করতে পারেন,সেক্ষেত্রে রাজী হয়ে পারেন।

সমস্যা হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 

(০৫)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৬)
এটি বাধ্যতামূলক কিছু নয়।
এটি একান্তই স্ত্রীর নিজস্ব ব্যপার,সেই চাইলে শাশুড়ীর খেদমত করতেও পারে,চাইলে খেদমতে নাও করতে পারে।
শরীয়ত তাকে এই বিষয়ে বাধ্য করেনি।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৭)
ফিজিক্যালি কিছু সমস্যা হতে পারে,তবে পাত্রী বিষয়টি ম্যানেজ করতে পারলে সমস্যা নেই।

(০৮)
এটাতে কোনো সমস্যা নেই।
স্বামী অনুমতি দিলে শরীয়তের নিয়ম কানুন মেনে পাত্রী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...