শরীয়তের বিধান হলো নামাজি ব্যাক্তির যদি কোনো ছোট থেকে ছোট বস্তুও মুখে পড়ার পর গিলে ফেলে,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
এমনকি নামাজের ভিতর যদি আসমানের দিকে চেহারা দেওয়ার কারনে বা অন্য কোনো কারনে বৃষ্টি বা অন্য কোনো এক ফোটা পানি মুখের ভিতর চলে আসে,এবং সে তা গিলে ফেলে,তাহলেও নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
,
যদি দাতের ভিতর কোনো খাদ্য আটকে গিয়ে থাকে,তা যদি বুট সমপরিমাণ হয়,তাহলে তা গিলে ফেলার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
,
আর যদি বুটের চেয়ে ছোট হয়,খুবই সামান্য হয়,দাত দ্বারা চিবানো ছাড়াই এমনিতেই গলার ভিতর চলে যায়, তাহলে তা গিলে ফেলার দ্বারা নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
হ্যাঁ যদি তা এমন শক্ত হয়,যে তাকে দাত দ্বারা চিবাইতে হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১০০)
নামাজে খাওয়া ও পান করা। নামাজরত অবস্থায় কিছু খেলে বা পান করলে নামাজ ভেঙে যায়। দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নামাজরত অবস্থায় খেলেও নামাজ ভেঙে যাবে। (মারাকিল ফালাহ ১/১২১, নূরুল ঈজাহ ১/৬৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عطاء أنہ قال: لا یأکل ولا یشرب وہو یصلي، فإن فعل أعاد۔ (المصنف لعبد الرزاق، المکروہات / باب الکلا في الصلاۃ ۲؍۳۳۲ رقم: ۳۵۷۹، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۲۳۵ رقم: ۲۲۷۱ زکریا)
নামাজ রত অবস্থায় কোনো কিছু খাবেনা,পান করবেনা।
যদি কেহ এমন করে,তাহলে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করবে।
وکذا أکلہ وشربہ مطلقاً ولو سمسمۃ ناسیاً (درمختار) ومثلہ ما أوقع في فیہ قطرۃ مطر فابتلعہا۔ (شامي ۲؍۳۸۲ زکریا، مراقي الفلاح ۱۷۷، البحر الرائق ۲؍۱۱، بدائع الصنائع ۱؍۵۵۴، حاشیۃ الطحطاوي ۳۲۳)
মতলকান খাওয়া,পান করার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়।