ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ صَالِحٍ - عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَرَامِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَعْدٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَمَّا يُوجِبُ الْغُسْلَ وَعَنِ الْمَاءِ يَكُونُ بَعْدَ الْمَاءِ فَقَالَ " ذَاكَ الْمَذْىُ وَكُلُّ فَحْلٍ يُمْذِي فَتَغْسِلُ مِنْ ذَلِكَ فَرْجَكَ وَأُنْثَيَيْكَ وَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلَاةِ "
‘আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দ আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ কি কারণে গোসল ওয়াজিব হয়? এবং গোসলের (বা পেশাবের) পর পুরুষাঙ্গ থেকে নির্গত পানি (মযী) সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ঐ পানিকে বীর্যরস বলা হয়। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক লোকেরই বীর্যরস নির্গত হয়। বীর্যরস বের হলে তোমার লজ্জাস্থান ও অন্ডকোষ ধুয়ে ফেলবে এবং সলাতের অযুর ন্যায় অযু করবে।
(আবু দাউদ ২১১)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَمَرَهُ أَنْ يَسْأَلَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ إِذَا دَنَا مِنْ أَهْلِهِ فَخَرَجَ مِنْهُ الْمَذْىُ مَاذَا عَلَيْهِ فَإِنَّ عِنْدِي ابْنَتَهُ وَأَنَا أَسْتَحْيِي أَنْ أَسْأَلَهُ . قَالَ الْمِقْدَادُ فَسَأَلْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " إِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ ذَلِكَ فَلْيَنْضَحْ فَرْجَهُ وَلْيَتَوَضَّأْ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ "
আল-মিক্বদাদ ইবনুল আস্ওয়াদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) তাকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেন, কোন ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীর নিকটবর্তী হলেই বীর্যরস নির্গত হলে তার করণীয় কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা আমার কাছে রয়েছে, সেজন্য আমি তাঁকে (সরাসরি) এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করছি। মিক্বদাদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ তোমাদের কারো এরূপ অবস্থা হলে সে যেন তার লজ্জাস্থান ধুয়ে নেয় এবং সলাতের অযুর ন্যায় অযু করে।
(নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ১৫৬) ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ মযী বের হলে উযু করা, হাঃ ৫০৫), আবু দাউদ ২০৭.মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, ১/৫৩/পৃঃ ৪০), আহমাদ (৬/৪,৫) ইবনু খুযাইমাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ২১),
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে ভালোভাবে একবার হাত ধুলে হাত পাক হয়ে যাবে।
(এক্ষেত্রে হাত থেকে নাপাকির গন্ধ/চিন্হ চলে গেলেই বুঝবেন, যে তাহা পাক হয়েছে।)
(০২)
আগে টিস্যু ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে সেই অঙ্গ গুলি প্রবল ধারণা হওয়া পর্যন্ত ধুয়ে নিবেন,তাহলেই সেই অঙ্গগুলি পাক হয়েছে বলে ধরে নিবেন।
,
প্রবল ধারণা হওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে এক বদনা সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন মাফিক পানি ঢালার পরামর্শ থাকবে।