ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الأَسْوَدِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সে শহীদ। (বুখারী ২৪৮০.আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩১৮)
وَعَن سعيدِ بنِ زيدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قُتِلَ دُونَ دِينِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ قُتِلَ دُونَ دَمِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ قُتِلَ دُونَ أَهْلِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ
সা’ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক তার দীনের কারণে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ। যে লোক তার প্রাণ রক্ষার্থে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ। যে লোক তার ধন-সম্পদ হিফাযাত করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ। যে লোক তার পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে সেও শহীদ।
সহীহ : আবূ দাঊদ ৪৭৭২, নাসায়ী ৪০৯৫, তিরমিযী ১৪২১, আহমাদ ১৬৫২, ইরওয়া ৭০৮, সহীহ আল জামি‘ ৬৪৪৫, সহীহ আত্ তারগীব ১৪১১।
ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি তার মাল রক্ষার জন্য প্রাণী অথবা অন্য কারো সাথে লড়াই করে এবং নিহত হয় সে শহীদ হিসেবে গণ্য হবে। তবে সে আখিরাতের বিধানে শহীদ হবে। অর্থাৎ সে শাহীদের নেকী পাবে। দুনিয়ায় শাহীদের হুকুম প্রযোজ্য হবে না। আর যে ব্যক্তি নিজকে, পরিবার বা নিকটতম আত্মীয়কে অথবা আল্লাহর দীনকে রক্ষা করতে শত্রুকে প্রতিহত করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ হবে। কেননা মু’মিন ব্যক্তি যার ব্যক্তিত্ব, রক্ত, পরিবার এবং সম্পদ হলো সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৫৯; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪২১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি আপনার স্মার্ট ফোন ছিনতাইকারী ছিনতাই করতে আসে, তাহলে আপনি নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতে পারবেন যেন নিতে না পারে এবং এতে আপনাকে মেরে ফেললে আপনি হুকমি শহিদ হয়ে যাবেন।
এটা হাকীকি শহীদ নয়,আখিরাতের বিধানে শহীদ হবেন। অর্থাৎ শহীদের নেকী পাবেন। দুনিয়ায় আপনার উপর শহীদের হুকুম প্রযোজ্য হবে না।
উল্লেখ্য যে এক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ছিনতাইকারীরহাত থেকে রক্ষা করার জন্য নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করা আবশ্যক নয়।
এটি আপনাফ ব্যাক্তিগত বিষয়, চাইলে সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতেও পারেন,চাইলে চেষ্টা নাও করতে পারেন।
(০২)
কৃমি পায়ুপথ দিয়ে বেড়িয়ে আসা সংক্রান্ত নিশ্চিত না হলে আপনি নামাজ চালিয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে নামাজের পর যদি নিশ্চিত হোন যে আসলেই কৃমি নামাজের মধ্যেই পায়ুপথ দিয়ে বেড়িয়ে এসেছিলো, সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবেন।