ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ومتى نوى شيئين مختلفين متساويين في الوكادة والفريضة، ولا رجحان لأحدهما على الآخر بطلا، ومتى ترجح أحدهما على الآخر ثبت الراجح، كذا في محيط السرخسي. فإذا نوى عن قضاء رمضان والنذر كان عن قضاء رمضان استحساناً، وإن نوى النذر المعين والتطوع ليلاً أو نهاراً أو نوى النذر المعين، وكفارة من الليل يقع عن النذر المعين بالإجماع، كذا في السراج الوهاج. ولو نوى قضاء رمضان، وكفارة الظهار كان عن القضاء استحساناً، كذا في فتاوى قاضي خان. وإذا نوى قضاء بعض رمضان، والتطوع يقع عن رمضان في قول أبي يوسف – رحمه الله تعالى -، وهو رواية عن أبي حنيفة – رحمه الله تعالى – كذا في الذخيرة”.(الفتاوى الهندية: 1/ 196)
যখন কেউ দু'টি পৃথক সমান সমান ফরযের নিয়তে কোনো একটি আ'মল করবে, যেখানে অগ্রাধিকার দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না, সেখানে দু'টি আ'মলই বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে যেখানে দু'টি আ'মলই বরাবর হবে না বরং কোনো একটিকে অগ্রাধিকার দেয়ার সুযোগ থাকবে, সেখানে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত আ'মলটাই গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং যদি রমজানের কাযা এবং নযরের নিয়তে কেউ রোযা রাখে তাহলে ইসতেহসানতথা বিশেষ বিবেচনায়) সেটা রমজানের কাযা রোযা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া কেউ যদি নির্দিষ্ট নযরের নিয়তে এবং দিন বা রাতের নফল ইবাদত হিসেবে রোযা রাখে, তাহলে সেটা নযরের রোযা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া কেউ যদি রমজানের কাযা রোযা এবং যিহারের কাফফারা হিসেবে রোযা রাখে তাহলে সেটা ইসতেহসানের ভিত্তিতে রমজানের কাযা হিসেবেই আদায় হবে। ঠিকতেমনিভাবে কেউ যদি রমজানের কাযা এবং নফলের নিয়তে রোযা রাখে তাহলে ইমাম আবু ইউসুফ রাহ এবং এক বিবরণমতে ইমাম আবু হানিফা রাহ মতে সেটা রমজানের কাযা রোযা হিসেবেই আদায় হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/77615
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কে উ যদি জিলহজ্ব এর ১০ রোজা রাখার নিয়ত করে, পাশাপাশি একই সাথে কাযা রোজার নিয়ত ও রাখে। তাহলে শুধুমাত্র কাযা রোযাই আলাদা হবে।
(২)
মুয়াজ্জিন সাহেব বলার পরপরই বলা উচিৎ।
(৩)
নতুনদের জন্য কালার কোডেড কুরআন মাজীদ থেকে পড়তে কোনো অসুবিধে আছে বলে মনে হচ্ছে না।