আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
101 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১. ভবিষ্যৎ শুধু আল্লাহই জানেন। একজনের প্রশ্ন এই যে, তাহলে নষ্ট্রাদামুস কিভাবে ভবিষ্যৎ জানত? এমনকি হযরত শাহজালাল (র.) ও কিছু কিছু জানতেন।

২.
ফাতাওয়া আলমগীরীতে বলা হয়েছে : ‘যদি কারও একজন স্ত্রী থাকে এবং সে আরেকটি বিয়ে করতে চায়, তার যদি ভয় থাকে যে, সে তাদের মধ্যে সমতা ও ন্যায় রক্ষা করতে পারবে না, তাহলে তার জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করার সুযোগ নেই। যদি এরকম কোনো ভয় না থাকে, তাহলে সে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে। তবে দ্বিতীয় বিয়ে থেকে বিরত থাকাই উত্তম এবং স্ত্রীকে দুঃখ দেওয়া থেকে বিরত থাকার কারণে সে সওয়াব পাবে।’ (ফাতাওয়া আলমগীরী ৭/ ৪৭৮)।

হানাফি ফকিহ সিরাজুদ্দীন ইবনে নুজাইম (রহ.) বলেন, যদি কেউ স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার উদ্দেশ্যে একাধিক বিয়ে না করে, তাহলে সে সওয়াব পাবে। স্ত্রীকে কষ্ট না দেওয়া ইবাদত ও সওয়াবের কাজ এবং উত্তম হলো এক বিয়েতেই সীমাবদ্ধ থাকা। (আন-নাহরুল ফায়েক শরহু কানযিদণ্ডদাকায়েক)।
এটা কি ঠিক আছে?

1 Answer

0 votes
by (588,570 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।(সূরা লুকমান-৩৪)

অত্র আয়াতে পঞ্চ ইন্দ্রীয় ব্যতীত নিশ্চিতরূপে গাইবের সংবাদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে,তা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না।গাইব শুধুমাত্র আল্লাহ-ই জানেন। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গাইবের সংবাদ জানে না।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ওলি আউলিয়ারা কখনো গায়েব জানেন না। যদি কখনো কারো ভবিষ্যতবাণী বাস্তব হয়, তাহলে সেটা কাকতালীয় ব্যাপার হবে।

(২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।(সূরা নিসা-০৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত রেফারেন্স আমরা খুজে পাচ্ছি না।ইনশা'আল্লাহ।দেখে তারপর বলছি.....


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...