আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি উস্তাদ

আমার ছোট বোনের বয়স ১১, ক্লাস ফাইভে পড়ে।
আলহামদুলিল্লাহ ও কয়েকমাস আগেও ভালো ছিলো,, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো,রমজানে সব রোজা রেখেছে,,আমল করতে চাইতো যা শুনতো।হিজাব পড়ে যেতো স্কুলে।

কিন্তু কয়েক মাস ধরে ও এত পরিমান বেয়াদব হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

আম্মু আব্বু কে যা নয় তা বলে এমনি আমাকেও।

এইবার রমজানে রোজা রাখেনি সব,,নামাজ অনেক কাযা হচ্ছে নামাজ এমন করে পড়ছে উঠে আর বসে।

এখন সে হিজাব ছেড়ে দিছে আমি অনেকবার বুঝেয়েছি ভালো মত।

কিন্তু সে অজুহাত দেয় গরম লাগে এই সেই।

আমাদের পরিবেশ দ্বীনি পরিবেশ না।আম্মু অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু সে তার মতই করছে যা করার।

আজ আমি অতি বিরক্ত হয়ে এসে ওর চুল কেটে দিয়েছি আমি উস্তাদ আর টিকতে পারছিলাম না।

আব্বু কয়েকমাস আগে দেশে এসেছিল তখন থেকেই ও আরও বেয়াদব হচ্ছে আব্বুকে যা নয় তা বলে হেসে কথা উড়ায় দে সে।

এখন আমি তো উস্তাদ বুঝতেছি কি হচ্ছে আসতে আসতে সব পালটে যাবে সবাই ছোট ছোট বলে,, আমাকে বকা দিচ্ছে আমি এত কথা বলি কেন।

ওর হায়েজ এখনো শুরু হয়নি এখন এই অবস্থা।

হায়েজ শুরু হলে ওর অবস্থা কি হবে তা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। আমি ইউনিভার্সিটি জন্য বাসায় থাকি না একা আম্মু থাকে।

এই মুহুর্তে আমার কি করা উচিত জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا
“যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহবান করে সে ঐ পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হয় যে ব্যক্তি তদনুযায়ী আমল করে। কিন্তু এতে আহ্বানকারীর সওয়াব কমানো হয় না।”(সুনানু আবি দাউদ-৪৬০৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/31389

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
{ ﻳَﺎﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﺑَﻠِّﻎْ ﻣَﺂ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻣِﻦ ﺭَّﺑِّﻚَ ﻭَﺇِﻥ ﻟَّﻢْ ﺗَﻔْﻌَﻞْ ﻓَﻤَﺎ ﺑَﻠَّﻐْﺖَ ﺭِﺳَﺎﻟَﺘَﻪُ [ ﺍﻟﻤﺎﺋﺪﺓ 67: ]
হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা আপনি প্রচার করুন। যদি আপনি তা না করেন তাহলে আপনি আল্লাহর বার্তা প্রচার করলেন না। (সূরা মায়েদা : ৬৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বোনের ব্যাপারে আপাতত এত কঠোর হওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং ধীরসুস্থে তাকে হেকমতের সাথে বুঝানোর চেষ্টা করুন।প্রয়োজনে শেষ মুহূর্তে কঠোরতাকে গ্রহণ করবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরোও বলেন:
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ١٢٥ (
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)

যাই হোক, তাকে মহব্বত করবেন,স্নেহতার সাথে তাকে দ্বীনের পথে হেদায়তের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ওসংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 111 views
0 votes
1 answer 155 views
...