বিসমিহি তা'আলা
781
ওয়া আলাইকুম আসসালাম!
তা'লিমের আ'দব হচ্ছে...........
ওজু সহকারে তা'লিমে বসা।
দিলের কানে আ'মলের নিয়তে শ্রবণ করা।
আত্তাহিয়্যাতুর সূরতে বসা।
সম্মিলিত মোনাজাত জায়েয রয়েছে।তবে সর্বাবস্থায় জরুরী মনে করা বেদআত।
মোনাজাত ওবং মোসাফাহার সাথে তা'লিমের কোনো সম্পর্ক নাই।এগুলি ভিন্ন ভিন্ন পৃথক বিষয়।
মোসাফাহা করা সুন্নত।এবং এ সময়ে নিম্নোক্ত দু'আ পড়া সুন্নত।
মুসাফাহার দু'আ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে.....
হাদীস শরীফে এসেছে যে-
ﺇﺫﺍ ﺍﻟﺘﻘﻰ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﺎﻥ ﻓﺘﺼﺎﻓﺤﺎ ﻭﺣﻤﺪﺍ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻭﺍﺳﺘﻐﻔﺮﺍﻩ ﻏﻔﺮ ﻟﻬﻤﺎ .
যখন দুইজন মুসলিমের সাক্ষাত হয় এবং তারা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করে, আল্লাহ তাআলার হামদ ও শোকর করে এবং আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করে তো আল্লাহ তাআলা উভয়কে মাগফিরাত দান করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ হাদীস ৫১৬৯)
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻣُﺴْﻠِﻤَﻴْﻦِ ﺍﻟْﺘَﻘَﻴَﺎ ﻓَﺄَﺧَﺬَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺑِﻴَﺪِ ﺻَﺎﺣِﺒِﻪِ ﺇِﻻ ﻛَﺎﻥَ ﺣَﻘًّﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُ ﺩُﻋَﺎﺀَﻫُﻤَﺎ ، ﻭَﻻ ﻳُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻤَﺎ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻐْﻔِﺮَ ﻟَﻬُﻤَﺎ
‘যখনই দুজন মুসলিমের সাক্ষাত হয় এবং তারা পরস্পর হাত মিলায় তো আল্লাহ তাআলার উপর তাদের এই হক জন্মে যে, আল্লাহ তাদের দুআ কবুল করবেন এবং তাদের হাতগুলো পৃথক হওয়ার আগেই তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।’ (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪২, হাদীস ১২৪৫১)
উপরোক্ত হাদীসগুলোর কারণে আমাদের পূর্বসূরী বুযুর্গরা মুসাফাহার সময় একে অপরের জন্য মাগফিরাতের দুআ করতেন। এই দুআর জন্য প্রসিদ্ধ আরবী বাক্যটি খুবই উপযুক্ত-
ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﻟَﻜُﻢْ
অর্থাৎ ‘আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন।’(মাসিক আল-কাউছার)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.