ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪) (শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/18148
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ব্যাংক থেকে সুদ গ্রহন করে, এমন ব্যক্তির সাথে ভাগে কোরবানি দিলে,আপনার কোরবানি আদায় হবে না।
(২)সেই কোরবানির গোস্ত থেকে নিজের ভাগের পরিমাণ গোস্ত খেতে পারবেন। এটা সাধারণ প্রাণী জবাইয়ের মতই মনে হবে।
(৩)ব্যাংক থেকে সুদ গ্রহন করে এমন ব্যক্তির কাছে গরু বিক্রি করলে, উক্ত ব্যক্তির থেকে টাকা নেওয়া যাবে।
কেননা এখানে বিক্রেতা হালাল গরুর বিনিময় নিচ্ছে।
৪. কেউ যদি বলে, " আমি তাকে (কোনো ব্যক্তিকে) ততটা বিশ্বাস করি, যতটা আমি আমার রবকে বিশ্বাস করি। "
" I trust her/him. How much I trust Allah. "
এই কথা দ্বারা যদিও শিরক হবে না।কেননা এখানে রবের জাতের সাথে তুলনা করছেনা, বরং বিশ্বাসের পরিমাণ বুঝাচ্ছে। তবে এমন কথা বলা কখনো জায়েয হবে না।রবের মত কাউকেই বিশ্বাস করা যাবে না।
(৫)একটা গানে উর্দু/হিন্দিতে একটা লাইন আছে যেটার বাংলা অর্থ হচ্ছে: " তছবি পড়ি, তোর ভালোবাসার " এই লাইনে শিরক হবে যদি ভালবাসার তাসবিহ কে আল্লাহর তাসবিহর মত মনে করে। তবে অন্য অর্থ উদ্দেশ্য নিলে শিরক হবে না।