জবাবঃ-
ফজরের সালাত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, যুহর ইনকাম বৃদ্ধি করে, আসর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, মাগরিব টেনশন রিলিজ করে আর ইশা শান্তিপূর্ণ ঘুম এনে দেয়।
এ রকম কোনো কথা কুরআন হাদীসের কোথাও আসেনি।তবে বুজুর্গানে কেরাম তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে এসব বলে থাকেন।
পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত উদ্দেশ্য আল্লাহ চাইলে পূর্ণ করতেও পারেন।
উল্লেখ্য যে,
প্রত্যেক নামাযের পর কিছু কিছু সূরা সম্পর্কে বিশেষ বিশেষ ফযিলত বর্ণিত হয়েছে,হ্যা অবশ্যই তাতে কোনো বিশেষ সময় ঠিক করা যাবে না,নির্দিষ্ট করা যাবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/459
وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَنْ قَرَأَ " يس " فِي صَدْرِ النَّهَارِ تَمَّتْ حَوَائِجُهُ» " رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ مُرْسَلًا.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি দিনের প্রথমাংশে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে,তার হাজত পূর্ণ হবে।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১৭৭)বিস্তারিত জানুন-
সূরা সমূহের ফযিলত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
উচিৎ হল,ফজরের পর সূরা ইয়াসিন এবং মাগরিবের পর সূরা ওয়াকেয়া তেলাওয়াত করা।