আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (23 points)
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, প্রিয় মুহতারাম আশা করি ভালো আছেন। আমরা অনেকেই গরু , মহিষ ৫ ভাগ/ ৭ ভাগে কুরবানী করে থাকি। ৭ ভাগেই যদিও বেশি কুরাবনী করে থাকি। আচ্ছা ৫ , ৭ যা হোক। কুরবানীর পশু জবেহ করার পরে গোশত কাটা শেষ করে আমরা কুরবানীর শরিকদাতারা গোশত ভাগ করি। এই গোশত অনেকে আগে ৭ ভাগ করে তারপর ৩ ভাগ করে । কিভাবে করে আল্লাহ্‌ আর ওরা ভালো জানেন। গোশত কিভাবে ভাগ করতে হবে?? আগে কি ৩ ভাগে ভাগ করে তারপর ১ ভাগ সমাজে দিয়ে তারপর বাকি দুইভাগ এক জায়গায় করে ৭ টা ভাগ করতে হবে ?? নাকি কিভাবে কি ?? একটু যদি বিস্তারিত বলতেন। ভালো থাকবেন , আর আমার জন্য দোয়া চাই হযরতের কাছে।

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে খাওয়া,এক ভাগ গরিব মিসকিন,আরেক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেয়া মুস্তাহাব।

তবে তিনভাগ না করে পুরো গোশত বা অধিকাংশ গোশত নিজে খাওয়াও জায়েজ আছে।
কেননা তিন ভাগ করা এটি আবশ্যকীয় বিধান নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، - وَهُوَ ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ - عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا "

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) [শব্দগুলোর আবূ বাকর ও ইবনু নুমায়র এর] ... ইবনু বুরায়দাহ (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বুরায়দাহ ইবনু হুসায়ব ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর বিয়ারাত করতে নিষেধ করতাম। (এখন অনুমতি দিচ্ছি) তোমরা কবর যিয়ারাত করতে পার। আমি ইতোপূর্বে তিনদিনের বেশী কুরবানী গোশত রাখার ব্যাপারে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম। এখন তোমাদের যতদিন ইচ্ছা রাখতে পার। এছাড়া আমি তোমাদেরকে পানির পাত্রে নবীয তৈরি করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যে কোন পানির পাত্রে তা তৈরি করতে পার। তবে নেশার বস্তু (মাদকদ্রব্য) পান করো না।

(মুসলিম শরীফ ২১৫০.ইসলামী ফাউন্ডেশন ২১২৯, ইসলামীক সেন্টার ২১৩২)

ইমাম আহমাদ বলেন: আমাদের অভিমত হল আব্দুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ) এর হাদিস: "সে নিজে এক তৃতীয়াংশ খাবে, এক তৃতীয়াংশ খাওয়াবে (যে চায়); আর এক তৃতীয়াংশ মিসকীনদেরকে দান করবে।" হাদিসটি আবু মুসা আল-ইসফাহানি "আল-ওয়াযায়িফ" নামক গ্রন্থে বর্ণনা করার পর বলেন: এটি হাসান হাদিস এবং ইবনে মাসউদ (রাঃ) ও ইবনে উমর (রাঃ) এর অভিমত। সাহাবীদের মধ্যে অন্য কেউ এ দুইজনের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন মর্মে জানা যায় না।[আল-মুগনী (৮/৬৩২)]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গরু/মহিষে যে কয়জন শরিক হয়ে কুরবানী দিবে,গোশত সকলের মাঝে অংশ হিসেবে সমান ভাবে ওযন করে আগে ভাগ করে দিতে হবে।
এটি আবশ্যক। 

তারপর তারা প্রত্যেকে তাদের গোশত বুঝে নেয়ার পর তারা এক ভাগ নিজের জন্য,এক ভাগ গরিব মিসকিন দের জন্য,আরেক ভাগ আত্মীয়স্বজনদেরকে দেয়ার জন্য গোশত তিন ভাগ করতে পারে।

এটি মুস্তাহাব,তবে তাহা কোনোভাবেই ওয়াজিব,আবশ্যকীয় নয়।
এমনটি না করলে কোনো গুনাহ হবেনা।

এক্ষেত্রে গরিবদের গোশত দেয়ার জন্য সমাজে গরিবদের অংশ দেয়া যাবে। 

এক্ষেত্রে সমাজ থেকে গোশত নেয়ার ক্ষেত্রে মাসয়ালা বিষয় হলো গরিবদের অংশ হতে সমাজে কিছু দিয়ে সেখান হতে গোশত নিয়ে আসা যদিও জায়েজ,তবে এটি কাম্য নয়। এটির পুরোটাই গরিবদের মাঝে বন্টন করা সবচেয়ে ভালো।

তবে উক্ত গোশতের মধ্যে কাহারো মান্নতের পশু থাকা যাবেনা।
যদি এখানে মান্নতের পশুর গোশত থাকে,তাহলে তাহা ধনীর জন্য নেয়া জায়েজ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...