আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

প্রশ্ন ১ : হুজুরের কাছে লেকচার শুনে সূরা বাকারার আয়াত " আত তালাকু মাররাতান" এই আয়াতের শব্দটা বার বার উচ্চারণ হয়ে যায়। যার অর্থ : তালাক হলো দুইবার।
স্ত্রীর সামনে এই সুরা বাকারার আয়াত উচ্চারণ করলে কোন সমস্যা হবে?? এবং বার বার সুরার এই আয়াত মুখে উচ্চারণ করলে সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ২ : আপনাদের কাছে ফতোয়া বা মাসালা জানতে চাওয়ার সময় তালাকের বাক্য লিখতে গিয়ে মুখে উচ্চারণ হয়ে যায় চিন্তা করে ভাবতে গিয়ে মুখে উচ্চারন হয়ে যায় এর জন্য কি সমস্যা হবে???

প্রশ্ন ৩ : একজন লোক তালাকের ফতোয়া দেখে মনে পড়লো অতিতে সে একবার রাগ করে স্ত্রীর অগোচরে মানে তার স্ত্রী সামনে ছিলো না। সে তার ছেলের সামনে তালাকের শব্দ উচ্চারণ করছিলো। তা প্রায় দশ বছর আগের কথা। এখন সেই লোক তালাক দিবো, না দিলাম,না অন্য ভাবে বলছিলো সেটা  তার এবং তার ছেলের মনে নাই।
মোট কথা তালাকের শব্দ সে তার ছেলের সামনে কিভাবে বা কোনভাবে উচ্চারণ করে বলেছিলো,,,সেটা তার এবং তার ছেলের মনে নাই। মোটকথা কারো কোন কিছু মনে নাই।

কারন দশ বছর আগের কাহিনি কারোই ই মনে থাকবে না।
এটা তাদের একধরনের ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ।
এজন্য কি সমস্যা হবে????

প্রশ্ন ৪: স্বামি যদি তার স্ত্রীকে ম্যসেজে বলে যে,

যদি তোমারে  ডিভোর্স দেই বা দিতাম,তাইলে তুমি কি করতা??  এরকম শব্দ বললে সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ৫: স্ত্রী তার স্বামিকে ম্যসেজে বলেছে এভাবে,
আমি অন্যকে বিয়ে করলে,আমাদের ডিভোর্স হইতো না।
স্ত্রীর এরকম কথা বলার এর জন্য কি সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ৬: স্বামি তার স্ত্রীকে whatsapp এ ম্যসেজে লিখতে ছিলো যে,,
তোমাদের বিল্ডিং এ যদি আরো তালা থাকতো তাহলে গরম কম লাগতো।

কিন্তু স্বামি যখন ম্যসেজ টাইপ করতে ছিলো তখন তালা শব্দটার জায়গায় কিবোর্ড এর অটো কারেকশনে তালাক শব্দটা add করে দিছে এবং সে ভুলে ক্লিক করে শব্দটা যোগ হয়ে যায়। তখন শব্দটা এরকম ছিলো,

 তোমাদের বিল্ডিং এ যদি আরো তালাক থাকতো তখন গরম কম লাগতো।
স্বামি ম্যসেজটি স্ত্রীকে পাঠায় নায়। সাথে সাথে ম্যসেজ মুছে ফেলে। এর জন্য কি সমস্যা হবে????

প্রশ্ন ৭:
স্বামি তার স্ত্রীকে বলেছিলো যে,
"Single মানুষের মতো জিবনটা enjoy করবা।'...

এসব কথায় কি কোন সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ৮: স্ত্রী তার স্বামিকে রাগ করে ম্যসেজে বলেছে,,,,আমরা কোন স্বামি স্ত্রী না,,,আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। শুধু কাগজে সাইন করা বাকি।।। স্ত্রীর এ কথার জন্য কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
স্ত্রীর সামনে এই সুরা বাকারার আয়াত উচ্চারণ করলে কোন সমস্যা হবেনা।
এবং বার বার সুরার এই আয়াত মুখে উচ্চারণ করলে সমস্যা হবেনা।

(০২)
এর জন্য সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এজন্য সমস্যা হবেনা। 

(০৪)
এরকম শব্দ বললে সমস্যা হবেনা।

(০৫)
স্ত্রীর এরকম কথা বলার এর জন্য তালাক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এর জন্য সমস্যা হবেনা। 

(০৭)
প্রশ্নের বিবরন মতে এতে সমস্যা হবেনা। 

(০৮)
স্ত্রীর এ কথার জন্য কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...