আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

১. হুজুর আমি যখন মুড়ি খাচ্ছিলাম তখন মনে মনে তালাক কথা টা হয়ে যাচ্ছে। হুজুর   মুড়ি চিবচ্ছিলাম, হুজুর কিছু খেতে গেলে জিহ্ববা নড়বে ঠোঁট নড়বে আর দাতে দাঁত লেগে মনে মনে তাকাক কথা টা হচ্ছে তো মনে হচ্ছে যেনো উচ্চরণ করছি। আর আমি যখন কিছু খাই তখন তালাক কথা টা মনে মনে হয়, বিষয় হলো খেতে খেতে তালাক কথা টা মনে হচ্ছিল, যেহেতু বলছিলাম মনে মনে আর যেহেতু খাচ্ছিলাম তাই মনে হচ্ছে উচ্চরণ হচ্ছে। এমন মুহূর্তে মনে মনে তালাক কথা টা মনে হয়, হুজুর আমি মুড়ি খাচ্ছিলাম তাই মনে ভয় হচ্ছিল উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি তাই বলে , কিন্তু আসলে মুড়ি খাচ্ছিলাম তাই জিহ্ববা নড়বে কিন্তু জিহ্ববা নাড়িয়ে উচ্চরণ করিনি। এমনি খেতে খেতে জিহ্ববা নড়ছিলো, আর সেই সময় মনে মনে তালাক এর কথা মনে হয় দিয়ে মনে হচ্ছে যেনো উচ্চরণ হয়ে যাচ্ছে আসল  এইভাবে কি উচ্চরণ ধরা হবে? এর জন্য কি তালাক হবে?

২. তার পর থেকে আমি একবার চেক করে দেখলাম , ঠোঁট বন্ধ করে দাতে দাঁত নাড়ছিলাম  এমনি হালকা জিহ্ববা নাড়ছিলাম আর বিসমিল্লাহ বলছিলাম আর  সেই সময় মনে মনে তালাক কথা টা বলে দেখলাম উচ্চরণ হচ্ছে কি , দিয়ে মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে যাচ্ছে এমন মনে হচ্ছে হুজুর এর জন্য কি তালাক হবে?

৩. হুজুর আমার খুবই চিন্তা হচ্ছে , মনে মনে আমি একবার চেক করে দেখলাম , খেতে খেতে বিসমিল্লাহ বলছিলাম আর মনে মনে তালাক কথা টা ভাবছিলাম দেখছিলাম উচ্চরণ হয় কি না । হুজুর এর জন্য তালাক হবে না তো? হুজুর আমাকে কি চিন্তা করার দরকার আছে?? Plz plz হুজুর জানাবেন।

৪. আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এটিকে উচ্চরণ ধরা হবেনা।
এর জন্য তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে এর জন্য তালাক হবেনা।

(০৩)
এর জন্য তালাক হবেনা।
আপনার চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই।

(০৪)
আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।
আলহামদুলিল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...