আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (68 points)
edited by
১. বিছানার চাদরে স্বপ্নদোষের ফলে একটু বীর্য লেগেছিলো, যা পরে শুকিয়ে যায়, এখন কোনো দাগ বা চিন্হ পওয়া যায় না। ইদানিং গরমের মাঝে সেই চাদরে ঘুমানোর পরে ঘামে চাদর ও পিঠ ভিজে যায়, এতে কি পিঠ নাপাক হবে? এবং তা ধৌত করতে হবে?

২. নাপাক শুকিয়ে গেলে যদি তার চিন্হ না থাকে,  এবং এমন অবস্থায় সেই জাগা ভিজা হাতে ধরলে কি আবার হাত নাপাক হয়ে যায়?

৩. ফেসবুকে একজন মজা করে পোস্ট দেয়, যে সবাই "আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি" এতোটুক লিখে থামবে পরে কিবোর্ডে যে লেখা অটোমেটিক আসবে তা বসিয়ে পোস্টে, আমার বউ এর লাইনটা এমন হয় " আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি ওয়েবসাইটকে" বউ এর সেই পোস্টে একজন কমেন্ট করে, " আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি এঞ্জেল কে" এটা দেখে আমার বউ কমেন্ট করে "তাও ভালো" এবং সেই পোস্টে হাহা রিয়েক্ট দেয়। পরে আমার বউকে বলি এন্জেলের আরো অর্থ থাকলেও মানুষ সচরাচর ফেরেসতা হিসাবে জানে, তোমার এভাবে "তাও ভালো " লেখা ঠিক হয় নি, কেটে দাও,পরে সে কেটে দেয়।  তার এই কাজে কি কুফর হবে?
(উল্লোখ্য: angel শব্দের অর্থ ফেরেশতা; স্বর্গীয় দূত; দেবদূত; (2) ডানা বিশিষ্ট স্বর্গীয় দূত; পরী; (3) নিষ্পাপ, নির্দোষ এবং অনুপম সৌন্দর্যের অধিকারী ব্যক্তি; (4) দেবদূত মূর্তিঅঙ্কিত ইংল্যান্ডের প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা বুঝায়)

৪. কেও যদি মনে মনে শর্তযুক্ত তালাকের কথা ভাবার সময় জিহ্বা একটু নড়ে, কিন্তু ঠোট বন্ধ থাকে এতে কি শর্ত আরোপিত হয়?

৫. "নবী দেখা দাও আমায়" এই ধরনের লাইন বিভিন্ন গজলে আছে এই গজল গুলো গাওয়া যায়?

৬. কোরআনের একটি অবাধ্য স্ত্রীর জন্য করনীয় পদ্ধতি নিয়ে একটা আয়াত আছে, একজনের স্ত্রীর কিছু অবাধ্যতায় করনীয় জানতে চাইলে একজন হুজুর বললেন তাকে বুঝালেই হবে, আর কিছু করা লাগবেনা, তখন তার ওই আয়াতের কথা স্মরন হওয়ার পরেও জনৈক ব্যক্তি ভাবলো, অমুক হুজুর তো বলেছেন আমি এভাবেই আমল করি, তারপরপর মনে হলো আরেএএ কোরআনের আয়াত থেকে উনার কথা বড় না কি? তখন সে তার ভাবনার ভুল বুঝতে পারে এতেকি কুফর হবে?

৭. একজন সুন্নত নামাজ ঠিক মতো মনযোগ দিয়ে ফরজের আদায় করে না, তখন সে নিজে নিজেই বলে,  "আমি তো তাইলে সুন্নতে মোয়াক্কায়দা গুরুত্ব দিলাম না" তার এই কথায় কি কুফর হবে?

৮. একজন ছাত্রকে একটা জিনিস জিগ্যেস করায় সে আল্লাহ কসম করে বলে, এই কথা শুনে শিক্ষক একটু বিরক্ত হয়ে ভ্রু কুচকান, কারন এখানে তার আল্লাহর নামে শপথের দরকার ছিলো না, তার এই বিরক্তি প্রকাশে কি গুনাহ বা কুফর হবে?

৯. ঠাকুর বলতে পুজনীয় বা এমন কোনো উদ্দেশ্যে না নিয়ে কেও যদি বলে "বৃন্দাবনের বাংশী ধারী ঠাকুর কানাই" (কানাই মানে কৃষ্ণ)  এটা একটা গানের লাইন এটা কেও বললে কি কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(১-২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾ 
আর আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ০৪)

الدر المختار: لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ، تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا
সারমর্মঃ 
কোনো নাপাক কাপড় যদি পানি দ্বারা ভিজে যায়,এক্ষেত্রে সেই ভেজা কাপড়ের সাথে পবিত্র কাপড় স্পর্শ করলে উক্ত নাপাক কাপড় যদি নিংড়ানোর দ্বারা নিংড়ানো যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আর যদি উক্ত নাপাক কাপড় পেশাব ইত্যাদি মিশ্রিত হয়,তাহলে সেই পবিত্র কাপড়ে নাপাকির চিন্হ,গন্ধ পাওয়া গেলে সেই পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
নতুবা নয়।

বিছানার চাদরে বা কাঁথায় বীর্য লাগার পর সেটি যদি পরিষ্কার না করা হয়, এবং বেশ কিছুদিন পর যদি ভেজা হাত/ ভেজা শরীরে ওই জায়গাটা স্পর্শ করা হয়, তাহলে  কাপড় বা শরীরে যেখানে লাগবে, সেই জায়গা নাপাক হয়ে যাবে। এবং ঐ হাত দ্বারা কিছুকে স্পর্শ করলে সেই জিনিষও নাপাক হয়ে যাবে। তবে যদি বিছানায় বা কাথায় বীর্য লাগার পর বীর্যের চিহ্ন পর্যন্ত নিঃচিহ্ন হয়ে যায়, এবং ভিজার পর তাতে আর কিছু দেখা না যায়, তাহলে ঐ স্থানে ভিজা হাত স্পর্শ করলেও তা আর নাপাক হবে না। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চাদরের যেই স্থানে বীর্য লেগে শুকিয়ে গিয়েছে,সেটি ঘামের দরুন যদি এতটুকু ভিজে যায় যে চিপলে ঘামের ফোটা বের হবে,তাহলে আপনার পিঠ নাপাক হয়ে যাবে।

নতুবা, পিঠে বীর্যের চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটিকে পাক হিসেবেই ধরবেন।
আর যদি নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পিঠে পাওয়া যায়,তাহলে সেটিকে নাপাক হিসেবে ধরবেন।

আরো জানুনঃ

(০৩)
তার এই কাজে কুফর হবেনা।

(০৪)
এতে শর্ত আরোপিত হয়না।

(০৫)
এখানে স্বপ্নযোগে আল্লাহর হুকুমে দেখা দেয়া উদ্দেশ্য, সুতরাং এই গজল গুলো গাওয়া,শোনা যাবে।

(০৬)
এতে কুফর হবেনা।

(০৭)
তার এ কথায় কুফর হবেনা।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে তার এই বিরক্তি প্রকাশে গুনাহ বা কুফর হবেনা।

(০৯)
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে উক্ত লাইন বললে কুফর হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...