আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
245 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
edited by
আসসামু আলাইকুম

১. কেউ যদি স্ত্রীকে তিন তালাকের নিয়তে "তোমাকে তিন" না বলে স্ত্রীকে তিন তালাকের নিয়তে   শুধু "তিন" বলে তাহলে কি তিন তালাক হয়ে যাবে?

২. কেউ যদি স্ত্রীকে তিন তালাকের নিয়তে খাতায়  "তোমাকে তিন" না লিখে  স্ত্রীকে তিন তালাকের নিয়তে খাতায়  শুধু "তিন" লিখে  তাহলে কি তিন তালাক হয়ে যাবে?

৩.কারো যদি কেনায়া বাক্য বলার সময় তালাকের  নিয়ত ছিল না ওয়াসওয়াসা থাকে তাহলে কি তালাক পতিত হবে?

৪. জামাতে নামাজের সময় ওয়াসওয়াসা বা বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা আসলে ইমাম কিরাত পড়ার সময় আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম পড়ে বাম দিকে হালাকা থুথু ফেলা যাবে?

৫. একাকি নামাজ পড়ার সময়  ওয়াসওয়াসা বা চিন্তাভাবনা আসলে তা দূর করার জন্য সূরা ফাতিহা পড়ার পর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম পড়ে বাম দিকে হালকা থুথু ফেলা যাবে?

৬ ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য নামাজে  বাম দিকে থুথু ফেলার আগে যে  " আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম পড়তে হয় তা কি মনে মনে পড়তে হয়?

৭. বুখারী শরীফের ৪৮৪৮ নং হাদিসে জাহান্নামে আল্লাহর পা রাখার বিষয়টির ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে চাই।

৮.কেউ যদি  তিন তালাকের বেশি তালাক দেয় তাহলে কি তালাক সাব্যস্ত হবে?
৯.  ছোট মেয়ে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে  কত বছরের কম হলে হুমরত সাব্যস্ত হবে না?

১০.আমি রাতে ঘুমানোর সময় সূরা  ইখলাস,  সূরা ফালাক,  সূরা নাস পড়ে দুই হাতের মাঝখানে ফু দিয়ে শরীরে মাসাহ করে ঘুমাই। আবার সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে  ঘুমাই।  এখন কি সকালে আবার ঘুমানোর আগে কি সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে  দুই হাতের মাঝখানে ফু দিয়ে শরীর মাসাহ করার আমলটা করা যাবে?

১১. সকাল বিকেল,  ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাস ৩বার , তারপর সূরা ফালাক ৩ বার, তারপর  সূরা নাস ৩  এভাবে পড়ব কি?
নাকি প্রথমে সূরা ইখলাস,  সূরা ফালাক,  সূরা নাস পড়ে আবার এই তিনটি সূরা পড়ে   আবার এই তিনটি সূরা ধারাবাহিকভাবে পড়ে মোট নয় বার পড়ব?

১২.তালাকের ওয়াসওয়াসা দূর করার উপায় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(১-২)
★কেউ যদি স্ত্রীকে তিন তালাকের নিয়তে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ইচ্ছায় "তোমাকে তিন" না বলে স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদানের নিয়তে শুধু "তিন" বলে তাহলে তিন তালাক হয়ে যাবে।

★কেউ যদি স্ত্রীকে তিন তালাকের নিয়তে খাতায়  "তোমাকে তিন" না লিখে  স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদানের নিয়তে খাতায়  শুধু "তিন" লিখে, তাহলে তিন তালাক হয়ে যাবে।

رجل قال لامرأته"ترايكى وتراسه"أو قال "تويكى وتوسه"قال ابو القاسم الصفار:لا يقع شيء وقال الصدر الشهيد:يقع إذا نوى قال وبه يفتى،قال القاضي وينبغي أن يكون الجواب على التفصيل إن كان ذلك في حال مذاكرة الطلاق أو في حال الغضب يقع الطلاق،وإن لم يكن لايقع إلا بالنية،كماقال في العربية أنت واحدة۔(خلاصة الفتاى، كتاب الطلاق، الفصل الثاني في الكنايات، ج:2، ص:98)

সারমর্মঃ-
তোমাকে এক, তোমাকে তিন বললে,
সদরুস শহীদ রহঃ বলেন,এক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হয়ে যাবে,এর উপরেই ফতোয়া।

(০৩)
সন্দেহ হলে এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

(৪.৫)
না,যাবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ মনে মনে পড়তে হয়।

(০৭)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي الْأَسْوَدِ حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يُلْقَى فِي النَّارِ وَتَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَزِيْدٍ حَتَّى يَضَعَ قَدَمَهُ فَتَقُوْلُ قَطْ قَطْ.

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হলে জাহান্নাম বলবে, আরো আছে কি? শেষে আল্লাহ্ তাঁর পা সেখানে রাখবেন, তখন সে বলবে, আর না, আর না। 
[বুখারী শরীফ ৪৮৪৮.৬৬৬১, ৭৩৮৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৮৪)

★শারহুস্ সুন্নাতে আছে যে, এ হাদীসে কুদরতি পা যা কিছু উল্লেখ করা হলো সবই আল্লাহর সিফাত, যার কোন ব্যাখ্যা করা যাবে না, বিশ্বাস করতে হবে এবং অবস্থা বর্ণনা করা যাবে না।  (মিরকাতুল মাফাতীহ, ফাতহুল বারী হা. ৪৮৫০)


(০৮)
এক্ষেত্রে ৩ তালাক সেব্য হবে,বাকি গুলো অনার্থক বলে বিবেচিত হবে। 

(০৯)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(১০)
হ্যাঁ করা যাবে।

(১১)
উভয় ভাবেই পড়া যায়।
তবে এক্ষেত্রে একটি সুরা ৩ বার পড়ে ২য় সুরা পড়া ভালো।

(১২)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...