আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার গ্যাস্ট্রিকের প্রভলেমের কারণে প্রায় সময়ই ফরজ নামাজ পড়তেই কয়েকবার ওযু করা লাগে। সেটার সাথে আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেছে। ডাক্তার ও দেখিয়েছি।

আামার মূলত যেটাতে সমস্যা যো, অনেক সময় দেখা যায় জামাতের মাঝখানে অযু চলে যায়। কিন্তু লজ্জায় বের হতে পারিনা। কারণ একবার দুবার হলে বের হয়ে যাওয়া যায়। আমার প্রতি ওয়াক্তেই প্রায় এরকম হয়। আমি এরপরও চেষ্টা করি জামাতে পড়ার জন্য। যদিও বেশিরভাগ সময় পুরো জামাতে পড়তে পারিনা কারণ ওজু চলে যায়। আবার আমি বেরও হতে পারিনা। একটা মেন্টাল ট্রমার মধ্যে আছি এটা নিয়ে।


আমার এখন কী করণীয়? জামাতে নামাজের বিষয়টাকে কিভাবে হ্যান্ডেল করব?

1 Answer

0 votes
by (564,540 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান  হলো কাহারো নামাজের ভিতর অযু ভেঙ্গে  গেলে সে তৎক্ষণাৎ অযুর জন্য বের হয়ে যাবে। 
অযু করে এসে যেখানে নামাজ রেখে গিয়েছিলো সেখান থেকে আবার আদায় করবে।

আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. বলেন, সে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫০)

সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো যদি নামাজে অযু ছুটে যায় তাহলে সে যেন বের হয়ে অযু করে আসে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫৪)
,
তবে এক্ষেত্রে পথিমধ্যে বা অযু করা অবস্থায় কারো সাথে বা এমনিতেই কথা বলা যাবেনা।
যদি কথা বলে,তাহলে তাকে আবার পুনরায় নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ "

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১.বুলুগুল মারাম ৭৫।)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি উপরোক্ত নিয়ম মেনে নামাজ আদায় করবেন।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি জামাতের শেষ কাতারের কোনো এক কোনায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন।

চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...