আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
১/ ফরজ গোসল এর সময় নাকফুল নাকে ছিল না , তখন এক্টা শলা নাকে দিয়ে গোসল করছিলাম।  কিন্তু আমার সন্দেহ ছিল যে আমার নাকের ছিদ্র দিয়ে পানি ডুকেনি।  আর তখন নাকফুল পড়া সম্ভব ছিলো না। তখন গোসল করে বের হয়ে নাকফুল পড়ে আবার নাক ধুয়েছিলাম।  এভাবে কি আমার ফরজ গোসল কম্পলিট হয়েছে?  নামাজ হয়েছে?
২/ আমার চাচাতো ভাই ইউরোপ কান্ট্রিতে থাকেন। অখানে উনাদের রেস্টুরেন্ট আছে। ব্যবসা শুরুর আগে মদ ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে অনেক লম্বা সময় পরে তা সরিয়ে ফেলছেন।।
এখন জানামতে হারাম কিছু রাখেন না।
উনাদের কাছ থেকে কোন গিফট আসলে রাখতে পারবো?  ইউজ করতে পারবো?  বা দাওয়াত খাওয়া যাবে উনাদের বাসায়?

কয়দিন পর উনাদের বাসায় কোন অনুষ্ঠানে/বিয়েতে এটেন্ড করা যাবে?
৩/ কারো যদি কোন ক্ষতি হয় এভাবে বলা জায়েজ হবে যে, তুমি এই কাজ না করলে আমি এমন বিপদে পড়তাম না? বা তোমার জন্য আমার এমন হয়েছে?
৪/ কাউকে যদি  কারো পছন্দ না হয় তাহলে এটা নিয়ে সমালোচনা কি জায়েজ বা উচিত যে সে এমন হলে সুন্দর হতো , হাসিটা এরকম হতে পারতো দাঁত উচু ফ্যামিলি আরো স্ট্যান্ডার্ড হতো ইত্যাদি ইত্যাদি???

এবং কেউ যদি কারো সামনে এমনভাবে বলে তাহলে তাকে কীভাবে থামানো উচিত যে এরকম বলা ঠিক হচ্ছে না?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/72734/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

وَجَبَ تَحْرِيكُ الْقُرْطِ وَالْخَاتَمِ الضَّيِّقَيْنِ وَلَوْ لَمْ يَكُنْ قُرْطٌ فَدَخَلَ الْمَاءُ الثَّقْبَ عِنْدَ مُرُورِهِ أَجْزَأَهُ وَإِلَّا أَدْخَلَهُ وَلَا يَتَكَلَّفُ فِي إدْخَالِ شَيْءٍ سِوَى الْمَاءِ مِنْ خَشَبٍ وَنَحْوِهِ. كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
আটালো নাকফুল এবং আংটিকে নাড়ানো ওয়াজিব। যদি নাকে কোনো নাকফুল না থাকে, বরং শুধুমাত্র নাকের ছিদ্র থাকে, এবং নাকের ঐ ছিদ্রে কোনো ভাবে পানি পৌছে যায়, তাহলে তা ফরয গোসল এবং অজুর জন্য যথেষ্ট। পানি ব্যতিত অন্যকোনো জিনিষ যেমন শলা ইত্যাদি নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে পানি পৌছানো জরুরী নয়। (বাহরুর রায়েক)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৯, জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৮৯,জাদীদ মাসাঈল-৯৭)

আপনি নাকফুলকে সামান্য নাড়িয়ে পানি পৌছানোর চেষ্টা করবেন। নাকফুলকে নাড়াচাড়া করে,পানি পৌছেছে, বিষয়টা নিশ্চিত হলে, আর নাড়াচাড়া করতে হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ফরজ গোসল পূর্ণ  হয়েছে নামাজ হয়েছে।

তবে পরবর্তীতে গোসলের সময়ে নাকে নাক ফুল থাক বা শলা থাক,সেক্ষেত্রে পানি দিয়ে তাহা নাড়াচাড়া করবেন,পানি পৌছেছে, বিষয়টা নিশ্চিত হলে, আর নাড়াচাড়া করতে হবে না।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে তাদের কাছ থেকে কোন গিফট আসলে রাখতে পারবেন। ইউজ করতে পারবেন।তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে।

(০৩)
এরকম বলাতে ঈমান চলে যাবেনা।
তবে তাকদীরের ফায়সালা মেনে নিয়ে এমনটি না বলাই ভালো।

(০৪)
কাউকে যদি কারো পছন্দ না হয়, তাহলে এটা নিয়ে সমালোচনা জায়েজ বা উচিত হবেনা।
তাই কেহ এমনটি বললে তাকে থামানো/নিষেধ করা উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
...