আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

আমার মা দীর্ঘদিন যাবত ধরে অসুস্থ, বিগত কয়েকদিনে উনার শারিরীক অবস্থার মারাত্নক অবনতি ঘটেছে। উনি এখন সম্পূর্ণ বিছানায় শয্যাশায়ী।
অনেকেই আমাকে বলছে তুমি হুজুর ডেকে তোমার আম্মুকে তাওবা করিয়ে নাও।

আবার এ ও বলছে যে তুমি কয়েকজন হুজুর ডেকে বলো তোমার মায়ের জন্য যেন শাফায়াত পড়িয়ে নেয়, তারা বলে শাফায়াত যদি পড়ানো হয় তবে উনার হায়াত থাকলে উনি সুস্থতা লাভ করবে অন্যথা এ কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করবে।

আমি দ্বিধায় আছি, এটা সুন্নাহ সম্মত কিনা তাও জানিনা।

শায়েখ দয়া করে জানাবেন তাওবা করানো এবং শাফায়াত পড়ানো সুন্নাহসম্মত কিনা?

অসুথ ব্যাক্তির সুস্থতার জন্য কি আমল করবে এবং এমতাবস্থায় সন্তান হিসেবে আমার করণীয় কি দয়া করে জানাবেন।

বারাকাল্লাহু ফিকুম।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ مَوْتِهِ بِثَلَاثَةِ أَيَّامٍ يَقُولُ: «لَا يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلَّا وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّه» . رَوَاهُ مُسلم

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মৃত্যুর তিনদিন আগে এ কথা বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আল্লাহর ওপর ভাল ধারণা পোষণ করা ছাড়া তোমাদের কেউ যেন মৃত্যুবরণ না করে। 
(মুসলিম ২৮৭৭, আবূ দাঊদ ৩১১৩, ইবনু মাজাহ্ ৪১৬৭, ইবনু হিব্বান ৬৩৮, সহীহ আত্ তারগীব ৩৩৮৫, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৭৭৯২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৫৬৬, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪৫৫।)

بَابُ مَا يُقَالُ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ الْمَوْتُ

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ সা’ঈদ ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তারা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যায় তাকে কালিমায়ে ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই) তালকীন দিও।
(মুসলিম ৯১৬, ৯১৭, আত্ তিরমিযী ৯৭৬, নাসায়ী ১৮২৬, ইবনু মাজাহ্ ১৪৪৪, ১৪৪৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১০৮৬৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৫৯৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪৬৫, ইরওয়া ৬৮৬, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৫১৪৮।)

بَابُ مَا يُقَالُ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ الْمَوْتُ

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَرِيضَ أَو الْمَيِّت فَقولُوا خيرا فَإِن الْمَلَائِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কোন অসুস্থ ব্যক্তির কাছে কিংবা কোন মৃত্যু পথযাত্রীর কাছে ভাল ভাল কথা বলবে। কারণ তোমরা তখন যা বলো, (তা’ শুনে) মালাকগণ (ফেরেশতারা) ’আমীন’ ’আমীন’ বলেন।
(মুসলিম ৯১৯, আত্ তিরমিযী ৯৭৭, আবূ দাঊদ ৩১১৫, নাসায়ী ১৮২৫, ইবনু মাজাহ্ ১৪৪৭, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৬০৬৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১০৮৪৭, আহমাদ ২৬৪৯৭, ইবনু হিব্বান ৩০০৫, মুসতাদরাক লিল হাকিম ৬৭৫৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭১২৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪৬১, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪৮৯, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৪৯১।)

অসুস্থ ব্যক্তির সবসময় উচিত নিজ কর্মকাণ্ডের জন্য আল্লাহর ভয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যু শয্যায় শায়িত এক যুবকের নিকট গেলেন, তিনি তাকে বললেন কেমন অনুভব করছ? যুবকটি বলল, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আল্লাহর নিকট কামনা করি এবং আমার গুনাহের জন্য ভয় করি। অতপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কোনো বান্দার অন্তরে এ স্থানে কেবল দু`টি বস্তু একত্রিত হয়, আল্লাহ তাকে তা দান করেন যা সে কামনা করে এবং নিরাপত্তা দেন যা থেকে সে ভয় করে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অসুস্থ হয়ে অধৈর্য হওয়া ঠিক নয়। অসুস্থ অবস্থায় বেশি বেশি আল্লাহর যিকির ও তাওবা ইস্তেগফার করার চেষ্টা করা উচিত। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক আপনার মায়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন,আপনার মাকে তওবা করতে বলবেন,বেশি বেশি ইস্তেগফার ও কালেমা পাঠ করতে বলবেন।

আপনার মা নিজে নিজেই আল্লাহর কাছে তওবা করবে,এক্ষেত্রে কোনো হুজুরকে ডাকার প্রয়োজনীয়তা নেই।

শাফায়াত পড়ানোর বিষয় কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...