আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
১।রাস্তা ঘাটে মাঝে মধ্যে ১০ বিশ টাকা পাওয়া যায় মালিককে খোজ করে পাওয়া যায় না সাধারণত আমি তাদের নামে দান করে দেই কাজ টা ঠিক হবে আবার  অনেকে বলে টাকা দরলেই নাকি দায়িত্ব আমার হয়ে যাবে মালিকের কাছে পৌছানো।

২।খেলাফত মজলিস আন্দোলনের ডাক দিছে এই কারনে যে আলেম ওলামাদের মুক্তির দাবিতে সেই আন্দোলনে যোগদান করলে কি গুনাহ হবে ।

৩।একবার হস্তমৈথুন করতে টয়লেটে গেছিলাম মোবাইল ফোন নিয়ে মোবাইলের স্ক্রিনে গুগল ক্রোমে কোরআন অথবা হাদিস ভেসে আসে বেখেয়ালে বা অনিচ্ছায় অপমান করার উদ্দেশ্য ছিল না এখন আমার ইমানে কোনো সমস্যা হবে কি।

৪।একজন লোক আমাদের এলাকার  একটি মাদ্রাসার বিরোধিতা করে অন্য কোনো মাদ্রাসার বিরোধিতা করে কিনা জানিনা। বিরোধিতা করার কারন তার পছন্দের লোক মাদ্রাসার মুদির ছিলো সে মাদ্রাসার খাসি বিভিন্ন দাওয়াত পেত এবং সে মাদ্রাসার ঘাটলার কাজ দিয়ে মিস্ত্রি থেকে কমিশন খাইছে।মুদির ভালো ছিলো না সে গাজা খাইছিলো একবার প্রমান পাইছি আবার এক মহিলার সাথে পরকীয়া ছিলো তারপরও রাখছে। মুদির ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে বাড়িতে বিল্ডিং দিছে কিভাবে আমার সন্দেহ হয়।মাদ্রাসা কতৃপক্ষ  তাকে কৌশলে বিদায় করে দেয়। তারপরে কয়েকজন লোক মাদ্রাসার বিরুদ্ধে লেগে যায়। সেই লোক আমাদের মসজিদের ইমাম কে বিনা কারনে বিদায় করতে সমাজের অনেক কে একত্রিত করে সে আবার ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে যিনার অপবাদ দিতে একজনকে বলছিল সে লোক মসজিদে হুজুরের বিরুদ্ধে অপবাদ দিতে সাহস পায় নাই। তারপর কয়েকজন হুজুরকে মিথ্যাবাদি বলে হুজুর কে বিদায় করে দেয়। সে তার মাকে মারছে।এবং আমার বাবা তার বাপের চাচাত ভাই হয় সে আমার বাবাকে মারতে আসছে কয়েক বার।সে মেম্বারের চামচা মেম্বারও সেইদলের। মেম্বারের চাচাত ভাই চোর প্রায় চুরি করে সেই লোক তাকে বিচার হওয়া থেকে বাঁচায়। সে এনেকের উপর যুলুম করছে।এই বিষয় নিয়ে নিচে কয়েকটি প্রশ্ন

★সে লোক বিএনপি করে কয়দিন পর পুলিশ আসবে বিএনপির লোকদের ধরতে তাকে ধরিয়ে দিতে পারবো কি
★সেই মেম্বার ও আরো লোকজনের বিরুদ্ধে মারামারি না করে কৌশলে কোনো পদক্ষেপ যেমন তার মেম্বারশিপ বাদ করার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র করা।

৫।নাবালক অবস্থায় কারো হক নষ্ট করলে কি তার কাছে মাফ চাইতে হবে।

৬।ফরজ নামাজের পর যেই যিকির থাকে কখন পরবো সুন্নাত পরার আগে নাকি পরে

৭।প্রসাবের নাপাকি ধোঁয়ার সময় আশে পাশে লাগে সেই আশপাশ সুধু পানি ডাললে হবে নাকি হাত দিয়ে ঢলা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (705,120 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/9913/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
কুড়িয়ে পাওয়া সম্পদ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তার মুল মালিকের খোজ করে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ " عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنِ اعْتُرِفَتْ فَأَدِّهَا وَإِلاَّ فَاعْرِفْ وِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا وَعَدَدَهَا ثُمَّ كُلْهَا فَإِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا فَأَدِّهَا "

যাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, কোন হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি সনাক্তকারী কোন লোক পাওয়া যায় তাহলে তাকে তা ফিরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখ এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার কর। তারপর মালিক এসে গেলে এটা তাকে ফিরিয়ে দিও।
(ইবনে মা-জাহ (২৫০৭),তিরমিজি ১৩৭৩.)

বিস্তারিত জানুনঃ 

যদি বস্তুটির মূল্য ১০ দিরহামের কম হয়, তাহলে কয়েকদিন ঘোষণা দিবে।

পক্ষান্তরে ১০ দিরহাম বা তার বেশি হলে এক বছর ঘোষণা দেবে। 

যদি কুড়ানো বস্তু এমন প্রকৃতির হয় যে, মালিক তা খোঁজ করবে না, যেমন দানা বা ডালিমের খোসা  তাহলে  নেওয়া ফেলে রেখে যাওয়া মুবাহ। 

এমনকি ঘোষণা করা ছাড়াই তা দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ হবে। এর সপক্ষে হাদিসে এসেছে, হাদীসটি হলো 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِتَمْرَةٍ فِي الطَّرِيقِ قَالَ " لَوْلاَ أَنِّي أَخَافُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لأَكَلْتُهَا ". وَقَالَ يَحْيَى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ وَقَالَ زَائِدَةُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ طَلْحَةَ حَدَّثَنَا أَنَسٌ.

মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তায় পড়ে থাকা খেজুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বললেন, আমার যদি আংশকা না হত যে এটি সা’দকার খেজুর তা হলে আমি এটা খেতাম।

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই টাকা তুলে নেওয়াই ঠিক নয়। 

তুলে নিলে এক্ষেত্রে কিছুদিন আপনাকে ঘোষণা দিতে হবে,প্রয়োজনে পোস্টার বা অন্য যেকোনো ভাবে ঘোষণা দিতে হবে।

প্রয়োজন মাফিক কিছুদিন ঘোষণার পরেও মালিক খুজে পাওয়া না গেলে উক্ত টাকা গরিব মিসকিনকে মালিকের ছওয়াবের নিয়তে দান করে দিবেন।

(২.৪)
সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন ইসলাম পালন করতে যে সমস্ত দ্বীনি ভাই,বোন আটকে যান, যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই,মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক।সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।চেষ্টা করলেও সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

জাযাকাল্লাহ, আপনার প্রশ্নটির জন্য। 

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছু জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব নয়। 
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে যোগাযোগ করলে ভালো হয়।

ইলম অর্জনের জন্য সফর করা জরুরী।তথা কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের পূর্বপুরুষদের রীতি ও নীতি। সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।

আল্লাহ আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক। আমীন।

প্রত্যেকটা বিষয়ে প্রথমে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য করবেন।

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।

ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 
আপনাকে তওবা করতে হবে। 

(০৫)
এটি আর্থিক হক নষ্ট হলে সেক্ষেত্রে উক্ত সন্তানের অভিভাবক সেই টাকা শোধ করবে। বা মাফ চেয়ে নিবে।

আর আর্থিক হক নষ্ট না হলে সেক্ষেত্রে মাফ নিতে হবেনা।
তবে মাফ চাওয়া ভালো।

(০৬)
জোহর,মাগরিব,ঈশার ফরজ নামাজের পর সুন্নাত আদায় করে যিকির,ওযিফা আদায় করতে হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৭)
এক্ষেত্রে শুধু পানি ঢেলে দিলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...