আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (1 point)
১. যে সর্নালংকার আমি সবসময় ব্যবহার করি, তার উপর যাকাত আসবে কিনা?

২. আমার মেয়ের জন্ম উপলক্ষে কিছু সর্নালংকার উপহার হিসেবে পাওয়া যায়। যা বর্তমানে আমি ব্যবহার করি। কিন্তু মেয়ে প্রাপ্তবয়স্কা হলে তাকে দিয়ে দিব। তাহলে এগুলোর মালিকানা কি আমার হবে? আর এগুলোর যাকাত কি আমাকে দিতে হবে?
৩. রমযান থেকে রমযান হিসাব করে যাকাত দেয়া যাবে কিনা? নাকি যেদিন আমি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছি সেদিন থেকেই হিসাব করে যাকাত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যে স্বর্ণালংকার আপনি সবসময় ব্যবহার করেন তার উপর যাকাত আসবে, যদি নেসাব পরিমাণ হয়।

’আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনুল হাদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। 
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى فِي يَدِي فَتَخَاتٍ مِنْ وَرِقٍ فَقَالَ " مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ " . فَقُلْتُ صَنَعْتُهُنَّ أَتَزَيَّنُ لَكَ يَا رَسُولَ اللهِ . قَالَ " أَتُؤَدِّينَ زَكَاتَهُنَّ " . قُلْتُ لَا أَوْ مَا شَاءَ اللهُ . قَالَ " هُوَ حَسْبُكِ مِنَ النَّارِ "
তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এসে আমার হাতে রূপার বড় আংটি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে ’আয়িশাহ! এটা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার উদ্দেশে সাজসজ্জার জন্য আমি এটা বানিয়েছি। তিনি বললেন, তুমি কি এগুলোর যাকাত দাও? আমি বললাম, না, অথবা আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। তিনি বললেন, তোমাকে (জাহান্নামের) আগুনে নিয়ে যেতে এটাই যথেষ্ট।(সুনানে আবি-দাউদ-১৫৬৫)


الجوهرة النيرة - (1 / 475):
"(قوله: وفي تبر الذهب والفضة وحليهما والآنية منهما الزكاة) التبر القطعة التي أخرجت من المعدن وهو غير المضروب وقوله وحليهما قال الشافعي: كل حلي معد للباس المباح لاتجب فيه الزكاة لنا ما روي عن النبي عليه الصلاة والسلام {رأى امرأتين تطوفان وعليهما سواران من ذهب، فقال: أتؤديان زكاتهما؟ قالتا: لا، قال: أتحبان أن يسوركما الله بسوارين من نار جهنم؟ فقالتا: لا قال: فأديا زكاتهما}، وأما اليواقيت واللآلئ والجواهر فلا زكاة فيها وإن كانت حليًا إلا أن تكون للتجارة".
الاختيار لتعليل المختار - (1 / 118):
"(وتجب في مضروبهما وتبرهما وحليهما وآنيتهما نوى التجارة أو لم ينو إذا كان ذلك نصابًا) قال الله تعالى: {والذين يكنزون الذهب والفضة ولاينفقونها}  [ التوبة : 34 ] الآية. علق الوجوب باسم الذهب والفضة وأنه موجود في جميع ما ذكرنا".
مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر - (1 / 306):
"ويجب في تبرهما بالكسر وهو ما يكون غير مضروب من الفضة والذهب وقد يطلق على غيرهما من المعدنيات كالنحاس والحديد إلا أنه بالذهب أكثر اختصاصًا، و قيل: فيه حقيقة وفي غيره مجاز وحليهما سواء كان للنساء أو لا أو قدر الحاجة أو فوقها أو يمسكها للتجارة أو للنفقة أو للتجمل أو لم ينو شيئًا".

(২)
নাবালক সন্তানের মালে যাকাত ফরয হয়না। নাবালক সন্তান যা উপহার হিসেবে পেয়েছে, সেটা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। 
وشرط افتراضہا (الزکاة): عقل وبلوغ وإسلام - قال ابن عابدین: قولہ: عقل وبلوغ: فلا تجب علی مجنون وصبي (الدر المختار مع رد المحتار: ۳/۱۷۳، کتاب الزکاة، ط: زکریا، دیوبند) 
وقال الحصکفي: لیس للأب إعارة مال طفلہ لعدم البدل وکذا القاضي والوصي، قال ابن عابدین: قولہ: ”لیس للأب إعارة مال طفلہ“ ہذا ما علیہ العامة․ (الدر المختار مع رد المحتار: ۱۲/ ۵۴۳، کتاب العاریة، زکریا) 

ویصح قبضہ أيا لصبي للہبة․ (شرح الأشباہ والنظائر: ۳/۳۰، الفن الثالث، أحکام (الصبیان) 

إذا وہب شيء للصبي الممیز، تتم الہبةُ بقبضہ الموہوب إن کان لہ ولي․ (شرح المجلة لسلیم رستم باز، ص: ۴۶۸، رقم المادة: ۸۵۳)

(৩) যেদিন আপনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেদিন থেকেই হিসাব করে যাকাত দিবেন।হ্যা,অধিক সওয়াবের আশায় আপনি রমজানকে যাকাতের জন্য নির্দিষ্ট করে নিতে পারেন।এক্ষেত্রে প্রথমবার একবৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর রমজান আসতে যতদিন সময় লাগবে, সেই দিন সমূহের অতিরিক্ত যাকাত আদায় করে নিবেন। এভাবে যে, বৎসরে আপনার যত টাকা যাকাত আসবে, সেই টাকাকে ৩৬৫ দ্বারা ভাগ করে ঐ দিন সমূহ দ্বারা গুণ করে নিবেন।তাহলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...