ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পর্দার তিনটি স্থর রয়েছে।অবস্থাভেদে এই তিনটির যেকোনো একটি ফরয।বিস্তারিত জানিন-
572সাধারণত সর্বোত্তম পর্দা হল,সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা।প্রয়োজনে এক চোখ খোলা রাখা যেতে পারে।এই শরীর ঢাকার জন্য প্রচলিত বোরখা জরুরী নয়।বরং যেকোনো কাপড় দ্বারা সমস্ত শরীর ঢেকে নিলেই পর্দার ফরয আদায় হয়ে যাবে।
মহিলাদের জন্য সকল রংয়ের পোষাক পড়া জায়েয আছে।পুরুষের জন্য খালিছ লাল এবং হলুদ রংয়ের পোষাক নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী পুরুষদের জন্যও অনুমতি রয়েছে।তবে শর্ত হলো,মহিলাদের সাদৃশ্য না হওয়া।কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৫/৩৩০,ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১২৫, ফাতাওয়ায়ে রাশিদিয়্যাহ-৫৮৫)
لما فى الشامية ،ج:٦ص:٣٨٥
وكره لبس المعصفر والمزعفر الأحمر والاصفر للرجال مفاده انه لايكره للنساء
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলারা যেকোনো রংয়ের বোরখা পড়তে পারবে।মহিলাদের জন্য কাপড়ের রংয়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।তবে পর-পুরুষের আকর্ষণ জন্মে, এমন পোষাক বা এমন বোরখা পড়া যাবে না।বিস্তারিত জানুন- 1090
পর্দার অর্থ হল,
এমন ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করা যাতেকরে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অঙ্গ সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশিত না হয়।সব কিছু এক কালার হোক বা না হোক এতে কোনো সমস্যা নেই। বোরকা ঢিলেঢালা হলে তাতে কারুকার্য থাকতেও কোরো বাধা নেই।ফিংলার লেস হাত মোজা যদি হাতকে ঢেকে রাখে পাশাপাশি কাজ করারও সুযোগ থাকে তাহলে তো বেশ ভালো।এতে অদ্য কোনো সমস্যা আছে বলে মনে হচ্ছে না।আজকাল সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য অনেকে টাইটপিট আঠালো বোরকা পরিধান করেন।যাদ্বারা বোরকার ফরযিয়্যাত আদায় হয় না।পর পুরুষ বা জনসম্মুখে সৌন্দর্য ঢেকে রাখতেই ঢিলেঢালা পোষাকের বিধান শরীয়ত দিয়েছে।তাই শরীয়তের উদ্দেশ্যর প্রতি সংহতি রেখেই পর্দাপুশিদা করা উচিৎ।