আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ মুহতারাম।

নামায চলাকালীন দাঁড়ানো অবস্থায় ভুলবশত দরূদে ইবরাহীম পড়া হয়েছে। এই অবস্থায় কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? উল্লেখ্য, দরূদ পড়ার পর সানা, কেরাত পড়া হয়েছে।

জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
closed

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)


কেউ যদি নামাজের মধ্যে দাঁড়ানো  অবস্থায় সূরা ফাতেহার পূর্বে দরুদ শরীফ পাঠ করে,তাহলে এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।

তবে যদি সুরা ফাতেহার পর অন্য সুরা মিলানোর আগে বা রুকুর আগে দরুদ শরীফ পাঠ করে, তাহলে ওয়াজিব আদায়ে দেড়ি করার দরুন সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

تبیین الحقائق:
"ولو تشهد في قيامه أو ركوعه أو سجوده فلا سهو عليه، لأنه ثناء وهذه المواضع محل الثناء وعن محمد لو تشهد في قيامه قبل قراءة الفاتحة فلا سهو عليه وبعدها يلزمه سجود السهو، وهو الأصح، لأن بعد الفاتحة محل قراءة السورة فإذا تشهد فيه فقد أخر الواجب وقبلها محل الثناء."
(كتاب الصلوة ،باب سجود السهو،ج: 1، ص: 93، ط: دار الكتاب الإسلامي)
সারমর্মঃ-
কেউ যদি দাঁড়ানো, রুকু,সেজদাহ রত অবস্থায় তাশাহুদ পাঠ করে,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
ইমাম মুহাম্মদ রহঃ বলেছেন যে কেউ যদি নামাজের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় সূরা ফাতেহার পূর্বে তাশাহুদ পাঠ করে,তাহলে এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
তবে যদি সুরা ফাতেহার পর পাঠ করে,তাহলে সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

فتاوی ہندیہ :
"ولو تشهد في قيامه قبل قراءة الفاتحة فلا سهو عليه وبعدها يلزمه سجود السهو وهو الأصح، لأن بعد الفاتحة محل قراءة السورة فإذا تشهد فيه فقد أخر الواجب وقبلها محل الثناء، كذا في التبيين ولو تشهد في الأخريين لا يلزمه السهو، كذا في محيط السرخسي."
(كتاب الصلوة، الباب الثاني عشر في سجود السهو،ج: 1، ص: 127، ط: رشيدية)
সারমর্মঃ-
কেউ যদি নামাজের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় সূরা ফাতেহার পূর্বে তাশাহুদ পাঠ করে,তাহলে এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
তবে যদি সুরা ফাতেহার পর পাঠ করে,তাহলে সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু সুরা ফাতেহার আগে দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন,তাই এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 193 views
0 votes
1 answer 515 views
...