আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (27 points)
https://ifatwa.info/77290/
উপরের প্রশ্নের উত্তরে আপনি যায়েজ হবে না বলেছেন হুজুর। আচ্ছা আয় যদি এমন হয় যে, কেউ একজন একাউন্ট তৈরি করলো। আমাকে বললো "তোমাকে ১০০ টাকা দিবো তুমি আমার একাউন্টের ফ্রেন্ড ৫০০ বাড়িয়ে দাও কাজ করে।"
এইরকম সার্ভিস দিলে কি সেটাও হারাম বা যায়েজ নয় হবে?

২। আরেকটি প্রশ্ন, আমার মামা প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা আয় করেন। মাস শেষে তেমন সঞ্চয় থাকে না। এইবার তিনি কোরবানী দিবেন সিধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু একি সময়ে তার আত্মীয় যেমন বোন, বোনের মেয়ে টাকা হাওলাত চেয়েছেন। তিনি যদি তাদের হাওলাত দেন তাহলে কোরবানী দিতে পারবেন না।

এখন কি টাকা হাওলাত দিবেন? অথবা কোরবানী দিবেন?

1 Answer

0 votes
by (574,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এইরকম সার্ভিস দিলে সেই টাকা হারাম হবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

শরীয়তের বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাওলাত দেয়া বা না দেয়া একান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যপার।

এক্ষেত্রে চাই সে হাওলাত দিক,অথবা না দিক,সব ছুরতেই তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। 
কেননা হাওলাত দিলেও সেই টাকার একচ্ছত্র মালিকানা আপনার মামারই থাকে।

তবে হাওলাত দেয়ার পর কুরবানীর দিন গুলোতে যদি কুরবানীর পশু ক্রয়ের মতো কোনো টাকা না থাকে,যারা হাওলাত নিয়েছেন,তারাও যদি কোনো টাকা শোধ না করে,আপনার মামার দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত সামানা পত্র বিক্রয় করলেও কুরবানীর পশু ক্রয়ের মতো কোনো টাকা না হয়,সেক্ষেত্রে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...