আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
179 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
edited by
১.যদি কোনো বড় সমস্যা হয় তাহলে তুমি তালাক দিবা' স্বামী স্ত্রীকে এই কথা বললে কত সময়ের জন্য স্ত্রী অধিকার পাবে?

২.কোনো স্ত্রী যদি নিজের উপর তালাক নেয় কিন্তু সে অধিকার পাওয়ার আগে নিয়েছে নাকি পরে এটা নিয়ে যদি সন্দেহে থাকে তাহলে কি তালাক পতিত হবে?
৩.তালাকের অধিকার পেয়ে স্বামী জগড়া করায় কোনো মহিলা স্বামীর সাথে রাগ করে অন্য এক মহিলার সাথে স্বামী সংসার নিয়ে কি কি যেন বলেছে।এখন তিনি মনে করতে পারছে না ঠিক কি বলেছে সংসার না করা নিয়ে কিছু একটা সে বলেছে।কিন্তু কি বলছে কিভাবে বলেছে স্পষ্ট মনে নেই।কি নিয়ত নিয়ে বলছে তাও মনে নেই। ঐ মহিলার সন্দেহ হচ্ছে সে নিজের উপর তা** নিয়ে নিলো কিনা বা এরকমন কিছু বলছে কিনা অস্পষ্ট শব্দে।কি যে বলছে মনে নেই।এখন সমাধান কি হবে তালাক কি হবে?যার সামনে বলছে তাকে কি জিজ্ঞেস করতে হবে কি বলছে তার সাথে? নিজেরই তো মনে নেই।

৩.কোনো পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে শুধু এটা বলে তোমাকে তালাকের অধিকার দিলাম তাহলে স্ত্রী কয় তালাকের অধিকার পাবে? স্ত্রী যদি ৩ তা** নিয়ে ফেলে এবং স্বামী যদি পরে বলে সে একটা নেয়ার অধিকার দিছিলো তখন তাহলে কি হবে?

 ৪.তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলার যদি এমন সন্দেহ হয় সে শুধু "আমি একা" এটা বলেছে নাকি "এতগুলো আম আমি একা খাবো নাকি" এটা বলেছে।তার এটা মনে আছে সে আমি একা বলেছিলো কিন্তু আগে পরের কথাগুলো নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে সে এভাবে বলেছিলো কিনা যে এতগুলো আাম আমি একা খাবো নাকি।এখন এ সন্দেহ মনে আসার থাকার কারনে তার নিজের উপরে কি তালাক হবে?

৫.আমার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে কাউকে টাকাপয়সা দেয়ার পরও মনে সন্দেহ জাগে তাকে দিয়েছি কিনা। অজু করতে গেলে মনে হয় অঙ্গ ভিজে নাই।বারবার ধুতে হয়।নামাজে সন্দেহ,ফরজ গোসল করলে পরে সন্দেহ জাগে অমুক অঙ্গ ভিজছে কিনা এমন সন্দেহ হয়,তালাকের ব্যাপারে খুব সন্দেহ হয় আগের ঘটনাগুলো নিয়ে।আমি কি ওয়াসওয়াসার রোগী হিসেবে গন্য হবো?এ সমস্যার ঔষধ খেয়েছিলাম কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই।তাই খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

1 Answer

0 votes
by (685,520 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
'যদি কোনো বড় সমস্যা হয় তাহলে তুমি তালাক দিবা' স্বামী স্ত্রীকে এই কথা বললে এটি শর্তযুক্ত তালাকের অধিকার হিসেবে গন্য হবে। 
শর্ত পাওয়া গেলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে,
শর্ত পাওয়া না গেলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।

তবে এক্ষেত্রে বড় সমস্য বলতে কি উদ্দেশ্য, তাহা স্বামী থেকে জেনে নিতে হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বামীর সহায়তা নিবে।
যদি সহায়তা নেয়ার পরেও কোনোভাবেই নিশ্চিত না হতে পারে,আর কোনো দলিল প্রমানও না থাকে,কোনো দিকে যদি প্রবল ধারণাও না হয়,সেক্ষেত্রে তালাকটি হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে স্বামীর নিয়ত ধর্তব্য।
স্বামী যদি বলে যে এক তালাকের অধিকার দিয়েছিলাম,সেক্ষেত্রে স্ত্রী শুধু এক তালাকই নিতে পারবে।

(০৪)
এ সন্দেহ মনে আসার কারনে তার নিজের উপরে  তালাক পতিত হবেনা।

(০৫)
টাকা পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে সব বিষয় লিখে রাখবেন বা কাউকে সাক্ষী রাখবেন।

অযুর ক্ষেত্রে তিনবার এক অঙ্গ ধোয়ার পর সন্দেহকে আর পাত্তা দিবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (53 points)
৩.তালাকের অধিকার পেয়ে স্বামী জগড়া করায় কোনো মহিলা স্বামীর সাথে রাগ করে অন্য এক মহিলার সাথে স্বামী সংসার নিয়ে কি কি যেন বলেছে।এখন তিনি মনে করতে পারছে না ঠিক কি বলেছে সংসার না করা নিয়ে কিছু একটা সে বলেছে।কিন্তু কি বলছে কিভাবে বলেছে স্পষ্ট মনে নেই।কি নিয়ত নিয়ে বলছে তাও মনে নেই। ঐ মহিলার সন্দেহ হচ্ছে সে নিজের উপর তা** নিয়ে নিলো কিনা বা এরকমন কিছু বলছে কিনা অস্পষ্ট শব্দে।কি যে বলছে মনে নেই।এখন সমাধান কি হবে তালাক কি হবে??যার সামনে বলছে তাকে কি জিজ্ঞেস করতে হবে কি বলছে তার সাথে? নিজেরই তো মনে নেই।

শায়খ এটার একটু উত্তর দেন
by (685,520 points)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...