বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
من جاوز بيوت مصره مريدًا سيرًا وسطًا ثلاثة أيّامٍ في برٍّ أو بحرٍ أو جبلٍ قصر الفرض الرّباعيّ فلو أتمّ وقعد في الثّانية صحّ وإلّا لاحتّى يدخل مصره أو ينوي إقامة نصف شهرٍ ببلدٍ أو قريةٍ لا بمكّة ومنًى وقصر إن نوى أقلّ منه أو لم ينو وبقي سنين أو نوى عسكرٌ ذلك بأرض الحرب، وإن حاصروا مصرًا أو حاصروا أهل البغي في دارنا في غيره
যে ব্যক্তি তার নিজ শহরের বসতবাড়িকে তিন দিনের দূরত্ব পরিমাণ সফরের নিয়তে ত্যাগ করবে,সে মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবে।জলে,স্থলে,পাহাড়ে যেকোনো স্থানেই সফর শুরু করুক না কেন?
তখন চার রা'কাতি নামাযে দু'রাকাত করে পড়বে।তবে যদি কেউ চার রা'কাত পড়ে নেয়,এবং চার রা'কাতের মাথায় শেষ বৈঠক করে নেয়,তাহলে তখন নামায বিশুদ্ধ হবে।(প্রথম দু রা'কাত ফরয এবং শেষ দু রা'কাত নফল হিসেবে গণ্য হবে।)যতক্ষণ না সে নিজ শহরে প্রবেশ করছে বা তথায় সু-নির্দিষ্ট ভাবে পনের দিন অবস্থানের নিয়ত করছে।
(কানুযদ-দাক্বাইক-১/১৭৮)
কোনো জায়গায় ১৫ দিন বা ততধিক অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম হয়ে যাবে। সেখান থেকে সামানা-পত্রসহ প্রস্থানের আগ পর্যন্ত সেখানে পূর্ণ নামাজ পড়বে এবং মুকিমের বিধান জারি থাকবে- (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৪)।
কেউ কোন এক গ্রামে লাগাতার পনের দিন থাকার নিয়ত না করলে মুসাফিরই থাকবে। তাই একাকী নামায পড়লে বা নিজেরা নামায পড়লে কসর আদায় করতে হবে।
কিন্তু মুকীম ইমামের পিছনে নামায পড়লে পুরো নামাযই পড়তে হবে।
আর যদি এক গ্রামেরই একাধিক মসজিদে বা এক মসজিদেই পনের দিন থাকার নিয়ত করে, তাহলে মুকীম হয়ে যাবে। তখন নামায পূর্ণই পড়তে হবে। কসর করা যাবে না।
فى تنوير الابصار- (من خرج من عمارة موضع إقامته) قاصدا مسيرة ثلاثة أيام ولياليها بالسير الوسط مع الاستراحات المعتادة صلى الفرض الرباعي ركعتين حتى يدخل موضع مقامه أَوْ يَنْوِيَ إقَامَةَ نِصْفِ شَهْرٍ (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/599-605، قاضى خان-1/164)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু আপনার বোনের বাসায় সুনির্দিষ্টভাবে ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত করছেন না,তাই আপনি মুসাফির হিসেবেই নামাযকে কসর করে পড়বেন।