আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

আমি বেশ কয়েক মাস হচ্ছে একটি সমস্যা ফেস করছি।আমার বিয়ে হয়েছে ১.৫ বছর হচ্ছে। বিয়ের আগে আমার সবকিছুর একটা রুটিন ছিল। আমি ১১/১২ টার মধ্যে রাত ঘুমিয়ে যেতাম। তারপর তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতাম। তাহাজ্জুদ ফযর পরে তারপর আবার একটু ঘুমাতাম। আমার সময় মত ঘুম না হলে আমি নামাযের জন্য জাগা পাই না যতই এলার্ম দেই।

এখন আমার সমস্যা হচ্ছে আমার জামাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমায় না। তার রাত জাগার অভ্যাস এবং রাতে দেরিতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস। আমি তাকে বলেছি রাতে একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নিত যেন আমি তাকে খাবার দিয়ে, খাবার খাওয়ায়ে ঘুমিয়ে যেতে পারি।এ নিয়ে তাকে আমি অনেক বার বলেছি। হাতে পায়ে ধরেছি।বলার পর ১/২ দিন ঠিক হলেও পারে আবার যে কি সেই।
আমি ২টায় ঘুমিয়ে ১ ঘন্টা পর নামাযের জন্য ফঠতে পারি না আমার সমস্যা হয় খুব। এজন্য করে দিনের পর দিন মাসের পর মাস আমার নামায কাজা যাচ্ছে আগে আমি রেগুলার তাহাজ্জুদ পরতাম। এখন আমার মনে পরে না শেষ কবে এক নাগারে কয়েকদিন নামায পড়েছি।

একদিন আমি তাকে সব খাবার টেবিলে রেডি করে আগে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম খুদা লাগলে যেন খেয়ে নেয় এতে সে রাগ করে। এভাবে যদি আমি ২/৩ টায় ঘুমাই তাহলে আমি তো পারব না উঠতে । না হলে কি করব আমি আমি যে দেরি করার জন্য উঠতে পারিনা।
আমাকে এর সমাধান দিয়ে সাহায্য করুন প্লিজ। প্রত্যেকদিন সকালে উঠে মনের মধ্যে অস্থির লাগে যখন দেখি নামায পড়তে পারিনি।

আমি যদি তাকে খাবার রেডি করে রেখে দিখে ঘুমিয়ে যাই আগে নামাযে উঠার জন্য এতে কি আমার গুনাহ হবে?? আমার করনাীয় কি??

1 Answer

0 votes
by (713,840 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ মিনহাল (রহ.) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمِنْهَالِ، قَالَ انْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي إِلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ فَقَالَ لَهُ أَبِي حَدِّثْنَا كَيْفَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ قَالَ كَانَ يُصَلِّي الْهَجِيرَ وَهْىَ الَّتِي تَدْعُونَهَا الأُولَى حِينَ تَدْحَضُ الشَّمْسُ، وَيُصَلِّي الْعَصْرَ، ثُمَّ يَرْجِعُ أَحَدُنَا إِلَى أَهْلِهِ فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ، وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي الْمَغْرِبِ. قَالَ وَكَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يُؤَخِّرَ الْعِشَاءَ. قَالَ وَكَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا، وَكَانَ يَنْفَتِلُ مِنْ صَلاَةِ الْغَدَاةِ حِينَ يَعْرِفُ أَحَدُنَا جَلِيسَهُ، وَيَقْرَأُ مِنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ.
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে আবূ বারযা আসলামী (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। আমার পিতা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ সালাতসমূহ কোন্ সময় আদায় করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত যাকে তোমরা প্রথম সালাত বলে থাকো, সূর্য ঢলে পড়লে আদায় করতেন। আর তিনি ‘আসরের সালাত এমন সময় আদায় করতেন যে, আমাদের কেউ সূর্য সজীব থাকতেই মদিনার শেষ প্রান্তে নিজ পরিজনের নিকট ফিরে আসতে পারতো। মাগরিব সম্পর্কে তিনি কী বলেছিলেন, তা আমি ভুলে গেছি। অতঃপর আবূ বারযা (রাযি.) বলেন, ‘ইশার সালাত একটু বিলম্বে আদায় করাকে তিনি পছন্দ করতেন। আর ‘ইশার পূর্বে ঘুমানো এবং পরে কথাবার্তা বলা তিনি অপছন্দ করতেন। আর এমন মুহূর্তে তিনি ফজরের সালাত শেষ করতেন যে, আমাদের যে কেউ তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত। এ সালাতে তিনি ষাট হতে একশত আয়াত তিলাওয়াত করতেন। (সহীহ বুখারী-৫৯৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/15991


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
স্বামীকে মিনতি করে বলার পরও যদি সে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা না করে, এবং এজন্য আপনি তার জন্য খাবার রেডি করে ঘুমিয়ে যান, এবং আপনার উদ্দেশ্য থাকে,তাহাজ্জুদের নামায পড়া, তাহলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। এক্ষেত্রে স্বামী নারাজ হলেও আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,840 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...